পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〔Ff商 83 ঘরের বাহির হইতে দেয় না। ওই স্বামীটির ভাগ্যের সঙ্গে তার ভাগ্যের পার্থক্য অকারণ নয়। যত গভীর হোক, ও চোর নয়। সে চোর। তার বেী তাই নিজের সুখের জন্য তাকে বিপদের মুখে যাইতে দিতে দ্বিধা করে মা। চোরস্বামীকে অনায়াসে ঘরের বাহির করিয়া ঝাপ বন্ধ করিয়া ঘুমায়। অল্পক্ষণের মধ্যেই মধু খালের ধারে পৌছিয়া গেল। বহুকাল পরে আজ সে আত্মপ্লানি অনুভব করিতে আরম্ভ করিয়াছে। পাপ-পুণ্য ভালমন্দের যে সংস্কার তাহার মরিয়া মরিয়া একেবারে নবজন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিল, তাহাই যেন আবার আগের রূপ ধরিয়া তাহার মনের মধ্যে অস্বস্তি ও বিতৃষ্ণ ছড়াইয়া দিতে লাগিল। খালের ধারে ধারে খানিক দূরের পুলটার দিকে চলিতে চলিতে রত্নাকরের মত সহসা মধু অনুভব করিতে আরম্ভ করিল, এতকাল সে অতি ঘৃণ্য জীবনযাপন করিয়া আসিয়াছে। অকথ্য কদৰ্য জীবন। পাপের তাহার সীমা নাই। নরকেও তাহার ঠাই হইবে না। ভাবিয়া নিজেকে মধুর একান্ত অসহায় মনে হইতে লাগিল। একটা অভূতপূর্ব হারাইয়া-যাওয়ার অনুভূতির মধ্যে তাহার সহসা যেন ভয় করিতে লাগিল। সে আবার ভাবিল, থাক, কাজ নাই চুরি করিয়া, ফিরিয়া যাওয়াই ভাল। কিন্তু কাদুকে মনে করিয়া এবারও প্ৰত্যাবর্তনের ইচ্ছাটা তাহাকে দমন করিয়া BBB DBDBDBSS S BDBD BBBDB DBDBDDD BDD S L DBDDBDBB D D DD তবু এমন অবস্থাতেও সে ভুলিতে পারিতেছিল না যে, কাদু। তাহাকে দুর্লভ, রূপযৌবন দিয়াছে, আজি না দিক এতকাল স্নেহও দিয়াছে। সেই দাবিতে কাদু তাহার কাছে সুখ চায়। প্রার্থনাটা যত স্বার্থপরের মত হোক, অসঙ্গত নয়, অনুচিত নয়। কাদুকে এসব তাহার দিতেই হইবে যে । খানিক আগাইয়া কুমারপাড়ার ঘাট। ঘাটে চার পাঁচটি ছোট বড় নৌকা রাধা আছে। একটি নৌকার ছাঁইয়ের মধ্যে এত রাত্রে আলো জলিতেছে দেখিয়া মধু একটু আশ্চৰ্য হইয়া গেল। এত রাত্রে খালে নৌকার মধ্যে আলো জালিয়া বসিয়া আছে কে ? বহুকাল ধরিয়া অন্ধকারে পথে-বিপথে বিচরণ করিয়া মধুর সাপের ভয় ছিল না। ঘন কাশীবনের মধ্যে উবু হইয়া বসিয়া দুই হাতে কাশ ফাক করিয়া করিয়া ঘাটের পাশে নৌকার খুব কাছেই সে একটু একটু করিয়া আগাইয়া গেল। ভাবিল, বিদেশী পাটের দালাল হয়ত কপাল ভাল। । e v-fiftis R o