পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R রািজলপুর নদীর ঘাটে এমনি এক বর্ষার রাত্রে মধু একজন মুখচেনা পাটের দালালের নৌকা হইতে একবার একটি ক্যাশব্যান্য সরাইয়াছিল। বাক্সে ছিল নগদ প্ৰায় সাতশ’ টাকা। আজও ফাঁকতালে তেমনি একটা দাও মারা যাইবে BDBD D BB DDB BDBSS DBBSBEBDBD DD DBDB DBDD DDD সিদ্ধ কাটিতে হইবে না। ধরা পড়িলে রাখালের গোয়ারগোবিন্দ ছেলেটায় হাতে যায় খাইয়া মরিবার ভয়ে থাকিয়া থাকিয়া মেরুদণ্ডের মধ্যে শিরশির করিয়া कटिय ना। পান্নাবাবুকে মধু বড় ভয় করে। জলের স্রোতে নৌকাটি পাশাপাশি তীরের দিকে ঘেষিয়া আসিয়াছিল । কোমর-জলে নামিয়া ছাই-এর ফুটায় চোখ দিয়া ভিতরে তাকাইতে মধুর আকাশকুহুম শূন্তে মিলাইয়া গেল। ভিতরে বিছানা পাতা আছে। মাথার কাছে আলো রাখিয়া সেই বিছানায় চিত হইয়া শুইয়া বই পড়িতেছে রাখালেরই বড় ছেলে পান্নাবাবু। রাখালের বাড়িতে চুরি করিতে বাহির হইয়া রাখালের ছেলেকেই খালের নির্জন ঘাটে নৌকার মধ্যে এত রাত্রে একাকী বই পড়িতে দেখিবে মধুর। ইহা কল্পনাতীতই ছিল। নৌকার ধার ঘোষিয়া জলের মধ্যে খানিকক্ষণ সে অভিভূত इहे धैांफुझेब ब्रट्रेिल । তারপর তাহার মনে হইল ব্যাপারটা হয়ত খুব আশ্চর্যজনক নয়। পান্নাবাবু কাল বোধ হয় শহরে যাইবে, আকাশে মেঘের ঘটা দেখিয়া সকাল সকাল খাওয়াদাওয়া সারিয়া নৌকায় আসিয়া শুইয়া আছে। ভোরারাত্রে মাঝিরা আসিয়া নৌকা খুলিবে । কিন্তু রাখালের বাডির কাছে মজুদার ঘাটে নৌকা না বাধিয়া এতদূর উজানে আসিয়া নৌকা রাখা হইয়াছে কেন, অনেক ভাবিয়াও মধু তাহার কারণটা অনুমান করিতে পারিল না। কিন্তু এক বিষয়ে সে অনেকটা নিশ্চিন্ত হইয়া গেল। রাখালের বাডিতে বুড়া রাখাল নিজে আর দুটি ছোট ছেলে ছাড়া পুরুষ মানুষ আর কেহ নাই। তাহার আবির্ভাব প্ৰকাশ পাইয়া গোলমাল হইলেও সহজে তাহাকে কেহ আয়ত্ত করিতে পারিবে না । মধু আর এ তীরে উঠিল না। সঁতিরাইয়া খাল পার হইয়া গেল। তাহার মন এখন হাল্কা হইয়া গিয়াছে। ভাগ্যের অনেকগুলি যোগাযোগের হিসাব করিয়া Q. Rifik V.E.Qriffettigitta o