পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t মেয়েটার বিবাহ দিতে পারিবে না। কিন্তু কথাটা তাহায় মনের মধ্যে একেৰায়েই DBDDB BBD BDS YBB BD DBzSDDBD DBBD DBD DDBB LLLLLL অবশিষ্ট ছিল না। রাখালের মেয়েকে সে ভুলিয়া গিয়াছিল। মধু জানিত, কুমারপাড়ার ঘাটে পান্নাবাবুর নৌকা বাধা আছে। কিন্তু ঘাটের কাছে আসিয়া ইতোমধ্যে নৌকাটি অদৃশ্য হইয়া গিয়াছে দেখিয়া সে অবাক হইয়া গেল। ভাবিল, এত রাত্রে নৌকা ছেড়ে পায়াবাবু গেল কোথায় ? বাড়ি পৌঁছিয়া ঘরের দরজা খোলা দেখিয়া মধু খুশি হইল। ভাবিল, কান্ধু তাহারই প্ৰতীক্ষায় দরজা খুলিয়া বসিয়া আছে। “আমি এসেছি, কাদু। আলো জাল।” সে আসিয়াছে, কাদুকে সোনার চুড়ি দিবার ব্যবস্থা করিয়া, একবছর দেড়বছর আরামে দিন কাটানোর উপায় করিয়া ফিরিয়া আসিয়াছে। কাদু কত খুশি ङ्हेहद । কাদুর সাড়া না পাইয়া সে ঘুমাইয়া আছে মনে করিয়া মধুর আনন্দ একটু কমিল। নিজেই সে কাঠের বাক্সের উপরটা হাতড়াইয়া দিয়াশলাই খুজিয়া প্ৰদীপ৷ জালিল। পরমহুর্তে দীপালোকে ঘরের শূন্যতা প্রকট হইয়া গেল। দুচোখে আপার বিস্ময় ও আশঙ্কা নিয়া মধু ঘরের শূন্যতাকে প্ৰত্যক্ষ করিল। এত রাত্রে মানুষের ঘর যে কি করিয়া এমনভাবে খালি হইয়া যায়, এ যেন হঠাৎ সে বুঝিয়া উঠিতে পারিল না। বিছানায় কাদু নাই। দাঁড়িতে কাদুর কাপড় দুখানা নাই। বড় টিনের তোরঙ্গটির উপর বেতের ছোট ঝাপিটও নাই। মধু সহসা ব্যাকুলভাবে টিনের তোরঙ্গটি খুলিয়া ফেলিল। ভিতরে কাদুর ক-খানা ভাল কাপড় ছিল, একটা পিতলের পানের ডিবায় সোনার মাকড়ি ছিল, আঙটি ছিল। সেগুলিও অদৃশ্য হইয়া গিয়াছে। মধুর মনের উত্তেজিত আনন্দ সহসা নিঝুম হইয়া গেল। টাকা ও নোটে ভয়া বালিশের খোলটি পায়ের কাছে মাটিতে পড়িয়া ছিল । সেদিকে তাকাইয়া তাহার মনে হইল আবার তাহার জর আসিতেছে। সহসা মধু বীভৎস হালি হাসিল। রাখালের ঘরের দিকে চলিবার সময় যে যুক্তি দিয়া নিজের চৌর্যবৃত্তিকে সে সমর্থনা করিয়াছিল। সেই কথাটি হঠাৎ তাহার মনে পড়িয়া গিয়াছে।। জগতে চোর নয় কে ? সবাই চুরি করে। to v-fits a