পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকম্প বাস্তবতার ফাকিটুকুই থাকে বলিয়া বঁচা সম্ভব হইয়াছে। স্বপ্নকে তাহার মূল্য দিতেই হইবে। প্ৰসন্ন উঠিয়া আলো জালিল। জল খাইয়া গায়ে একটা চাদর জড়াইয়া চুপচাপ বিছানায় বসিয়া রহিল। শুধু বাড়ি নয়, সমস্ত পাড়াটা নিঝুম হইয়া পড়িয়াছে। আলোটা ভয়ে ভয়ে মিটমিটি জলিতেছে, রাস্তার আলো এতখানি অন্তরালে যে অস্তিত্বের মৃদু প্ৰমাণটাই বিস্ময়কর। এ যেন রাত্রি নয়, শঙ্কার কুয়াশা। প্ৰসন্ন ভাবিতে লাগিল, একটা বউ থাকিলে এ সময়ে কাজ দিত। প্ৰেমালাপ নয়, মানুষের সঙ্গে দুটি সাধারণ কথা বলিবার এত বড় প্রয়োজন কি সচরাচর আসে ? বউ নিশ্চয় তাহার ভয়ের ভাগ লাইত, দুচোখ বড় বড় করিয়া ভীত কণ্ঠে বলিত, “কি গো ? কি ? সে বলিত, “কিছু না, বডড মশা লাগছে। উঠে মশারিটা একবার ঝাড় না ?-“আলোটা বাড়িয়ে দাও, আমার বড় ভয় করছে।” SDBD BBS DDD DDD S S BDBB S DB DBBDSS D BB BDBDSB D আলোটা তুমি বাড়িয়ে দাও।” মা কেমন করিয়া টের পাইয়াছিলেন, উঠিয়া আসিয়া জানাল দিয়া প্ৰশ্ন করিলেন, "রাতদুপুরে আলো জেলে বসে রয়েছিস যে ? “একটা দুঃস্বপ্ন দেখলাম, মা ।” ‘তা দেখবি না ? যে অনাচারটাই তুই করিস। কাপড়ে ভাত পড়ল, পইপই করে বারণ করলাম কানে তুলিলি না, সেই কাপড়ে এসে শুলি। নে, মা দুৰ্গাকে ডেকে আলো নিবিয়ে ঘুমো।” পরদিন সকালে মা বলিলেন, ‘এবার একটা বিয়ে কর বাবা, মাথা খাস। রোজগার-পাতি করছিস-” সকালে বউয়ের প্রয়োজন মিটিয়া গিয়াছে, খবরের কাগজটা নামাইয়া প্ৰসন্ন বলিল, “কানপুরে কি ভয়ানক কাণ্ড হয়েছে জান মা ? একটা আপিসের ছাদ ভেঙে সাতজন কেরানী মারা গেছে, পনরো জন জখম হয়েছে।’ মোটা হেডিংটা দেখিয়া মা বলিলেন, “ওই লিখেছে বুঝি ? 'না, ওটা যুদ্ধের খবর।” “পড়তে শুনি।” ‘যুদ্ধের খবর আর কি শুনবে মা ? কানপুরের কাণ্ডটা কি ভয়ানক বল তা! offif's gy o