পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র তৃতীয় খণ্ড.pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট 8b”ዒ সাত বছরের মেয়ে চুরি করিয়াছে ভাবিতেও কিন্তু মেজ বেঁটির ভাবপ্রবণতায় ঘা লাগিয়াছিল। সাবিস্ত্রীকে নিজের ঘরে ডাকিয়া নিয়া গায়ে মাথায় হাত বুলাইয়া সে বলিয়াছিল, “সাবি, লক্ষ্মী মেয়ে, আমায় একটা সত্যি কথা বলবি ?” ‘আমি মিথ্যে বলি নাকি ?" “না না, তা বলিনি। সত্যি তা বলিনি। আমায় বিশ্বাস কবি সাবি, তা বলিনি। এই তোর গা ছুঁয়ে বলছি, তা বলিনি। বলছিলাম কি, তুই যে হারটা কুড়িয়ে নিয়েছিলি, আমায ফিবিযে দেবার জন্যে ; না ?” ‘তা না তো কি ?” ‘বাঁচালি ভাই আমাকে । আমার মনের মধ্যে এমন করছিল, বিস্কুট খাবি ... বাস। এইখোনে, ‘আনছি।” মেজবীে আনিতে গিয়েছিল বিস্কুট আৰু সেই অবসরে সাবিত্রী চুবি করিয়াছিল { অসম্পূর্ণ } 'চাষার বীে” নামক গল্পটির দুটি পাঠসহ খণ্ডিত সাতটি পৃষ্ঠার প্রতিলিপি বাংলা আকাদেমির অভিলেখাগারে রক্ষিত আছে। গল্পটির একটি সম্পূর্ণ মুদ্রিত পাঠ সম্প্রতি পাওয়া গেছে সেটি সংযোজন খণ্ডে যথাযথ তথ্যসহ মুদ্রিত হবে। সহরতলী সংবতলী’ উপন্যাসের মূল পাণ্ডুলিপির বিক্ষিপ্ত কিন্তু সম্পূর্ণ অংশ ঢাকা-র (বাংলাদেশ) বাংলা একাডেমীকে লেখক-পরিবারের পক্ষ থেকে উপহারস্বরূপ প্রদত্ত হয়েছে। সহরতলী প্রথম পর্বের পাণ্ডুলিপির কয়েকটি পৃষ্ঠার জেবক্স কপি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি-র অভিলেখাগাবে আছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভ্যাস ছিল একটি উপন্যাসের সূত্রপাত অংশ বারবার লিখতেন বিভিন্ন পৃষ্ঠায়। সে ভাবেই একই লেখার বিভিন্ন লেখন পাওয়া গেছে। যতটা পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেছে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায় প্রথম পরিকল্পনার সঙ্গে মুদ্রিত পাঠের কিছু অমিল রয়েছে। মুদ্রিত উপন্যাসেব পরিবেশের পশ্চাৎপট পাণ্ডুলিপিতে একই আছে, প্ৰায় একই ভাষায় শহরতলিব বিবর্তন ও কলকারখানা গড়ে ওঠার বর্ণনা আছে। ভাষার হেরফের সামান্যই। যেমন কোথাও ‘বড় রাস্ত’ কোথাও “বড় বড় রাস্ত” কোথাও ‘প্রধান রাস্তা’। তবে পাণ্ডুলিপির দুটি পৃষ্ঠায় উপন্যাসের অন্য প্রকা-র আরম্ভের একটি খসড়া পাওয়া যায। যথা সহরতলী মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায় সহরতলীর চেয়ে মজার যায়গা আব নাই। পৃথিবীতে যদি একটিমাত্র সহব থাকিত তবে সেই সহবেব সহিবতলীকে অনায়াসে বলা চলিত পৃথিবীর অষ্টমাশ্চৰ্য্য। সহবতলীৰ পথঘাট বাড়ীঘর পুকুব বাগান গাছপালা মানুষজন সমস্তই এক অভিনব, রহস্যময় ও মৌলিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করিতে করিতে কবে না, ফাক ফাঁকা ও ফাকি দিয়া নিজেদের সাধারণের পর্যায়ে ফেলিয়া বাখে এবং সেইজন্যই স্থান হিসাবে সহরতলী হইয়া থাকে চিরদিনের জন্য অতুলনীয়। যানবাহনের গর্জনের সঙ্গে মিশিয়া জীবনের ভরে নিপীড়িত জনতার আর্তনাদ থাকে সহবের মাঝখানে, যেখানে সাদা লাল বাদামী প্রভৃতি রঙে ঢাকা দেয়ালের শ্বাসরোধী আবেষ্টনীর মধ্যে বাস করিতে করিতে আকাশের আলো ও বাতাসকে মানুষগুলি যে আলো ও বাতাস বলিয়া চিনিতে পারে মানুষের সৃষ্টিকৰ্ত্ত তাহাতেই বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ