পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্ৰাঃ S bró পিকেটিং করে বাবু গেলেন জেলে ! বুঝতে পারছি বউ, মানুষের মন কী রকম আশ্চর্য জিনিস ? সাধ ছিল সিনেমা দেখার, সাধ মেটাল জেলে গিয়ে ! দেখা গেল, শঙ্করের কীর্তিতে সব চেয়ে বিচলিত হইয়াছেন রামলাল। রামলালেব দোষ নাই। সেদিন সন্ধ্যায বামলালও সেই হোটেলে ছিলেন-প্রায়ই থাকেন। ছেলেকে তিনি হোটেলে ঢুকিতে দেখিযাছিলেন, পেগ টানিতেও দেখিযাছিলেন। এ অবস্থায় বাপের পক্ষে একটু বিচলিত হওয়াই স্বাভাবিক। রামলালেব অনুভূতি বড়ো ভেঁাতা, মানুষটা তিনি তাই নির্বিকার। এত বেশি নির্বিকার যে মদে তাব না হয় নেশা, না জাগে বিকাব। কেবল সাধাবণ অবস্থায় কিছু ভালো-না-লাগা আব্ব কিছু খারাপ-না-লাগার অস্বাভাবিক স্থায়ী সমন্বয্যের মধ্যে, কিছু ভালো-না-লাগাটা মদেব শাসনে স্বাভাবিক হইয়া ওঠে,--তিনি মনে করেন, তাই ওঁঠার পক্ষে যথেষ্ট বৈচিত্রা, পঞ্চম লাভ । জীবনে তঁার কোনো স্বাদ নাই, জীবনটা তাই সাধারণভাবে বিস্বাদ করিয়াই তিনি কৃতাৰ্থ —সকলের জীবন যতটুকু বিস্বাদ। এ বিষয়ে তিনি নিবুপায। চামড়া যার এত মোটা যে, জীবনদেবতার গামো হাত-কুলান আদব টেরও পান না, প্রহার ছাড়া তব চলিবে কেন ? কিন্তু ছেলে মদ টানিতেছে, এ প্ৰহাব নায । কিছুক্ষণ। হতভম্ব হইম থাকিযা সেদিন তিনি হোটেল হইতে বাহির হইযা গিয়াছিলেন ; যে উপাযে নিয়মিত ভাবে জীবনটা তিনি যতটুকু বিস্বাদ কবেন, কল্পনাতীত বৃপে সেদিন তাক চেয়ে বিস্বাদ হইয়া গিয়াছিল,---কন্ডা এবং ঝাঝালো। কতকাল পাবে যে এ বকম কড়া ও ঝাঁঝালো কষ্ট পাইলেন, বামলালেব মনেও ছিল না। শঙ্কব তাকে দেখিতে পাইযাচ্ছে কি না। এ বিষযে তার মনে সন্দেহ ছিল, শঙ্করেব জেলে যাওযার খববে। এ সন্দেহ মিটিয়া গেল। একটু খুশিও তিনি হইলেন, BBBB BBBBBuB DBBBD BBB BKBBB BDDB BBB BD BB DBBBBuBBuBD KYBDB BSBLBuBDBD না গিয সে থাকিতে পারে নাই-এ যেন একটা সাস্তুনা, এ যেন একটা প্রমাণ যে শঙ্কৰ বেশি। বিগড়াইযা যায় নাই, এ যেন শঙ্করের পরোক্ষ ঘোষণা যে, আব্ব কখনও এমন কাজ সে করিবে না। কিন্তু এ সাত্ত্বনা, প্রমাণ বা পরোক্ষ ঘোষণা বামলালের কাজে লাগিল না, এতকালেব ভেঁাতা। অনুভূতি হঠাৎ বিদ্রোহ করিয়া তঁাকে অনভ্যস্ত কষ্ট দিতে লাগিল। এ কাজ শঙ্কবা করিযাচ্ছে কেন, একটি ছাড়া, এ প্রশ্নোবা জবাব রামলাল খুজিয়া পাইলেন না। তঁর মতো লোক যার বাপ, সে এই বকমই করে। জীবজগতের নিয়মই এই ৷ শঙ্করকে তিনি দোষ দিতে পাবেন না, জন্ম তিনি শঙ্কবকে যেমন দিযাছেন, মদেব গ্রাস হাতে করব কামনাও তেমনই তারই দান ! রামলাল নিজেও যেমন বাড়ির মানুষগুলি সম্বন্ধে নির্বিকার, বাড়িব মানুষগুলিও তীব সম্বন্ধে তেমনই উদাসীন। কিন্তু হঠাৎ রামলালের পবিবর্তন দেখিয়া বাড়ির লোকে অবাক হইয়া গেল। সন্ধ্যাব আগে রামলাল বাড়ি ফেরেন, এ ঘবে ও ঘরে ছটফট করিয়া বেড়ান, যাচিযা সকলেব সঙ্গে কথা বলেন, নিজের সুখসুবিধার দাবি জানান, কারণে অকারণে বাগেন আর বকেন এবং পৰ্ব্বক্ষণে অনুতপ্ত হইয়া, বড়ো মানুষকে বকিয়া থাকিলে আদর কবেন বাড়ির কযেকটি শিশুব যে কোনো একটিকে, ছোটাে মানুষকে বকিয়া থাকিলে বড়ো মানুষের যে কোনো একজনের সঙ্গে মিষ্টি কবিয়া কথা বলেন--অবাস্তর খাপছাড়া সব কথা। রামলাল মদ খাইলেও টেব পাওয়া কঠিন, তবু সকলেই এখন BD KB DBD DD DD DBBDS DD D BBBBBD DDSS কদিনের জন্যই বা শঙ্কর জেলে গিয়াছে, তাতেই এত ? রামলালেব এমন পুত্ৰমেহেব খবব তো ইহারা রাখিত না ! সীতা বলেন, কেন এত ভাবছি দাদা ? দু-চারবছরের জেল তো হযনি ! জেলের জন্য নয় ! ওব আমি কী সৰ্ব্বনাশ করেছি। বল তো ?