পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র নবম খণ্ড.pdf/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরফ 8V মুকুল হঠাৎ কেঁদে ফেলে। প্ৰাণ তো ভরাবই। ক-দিন পেট ভরে খেয়ে চেহারাটা ঠিক করুন, কলিতে অল্পই প্ৰাণ জানেন GF o SO আত্তির মা-র অসুখের কথা বলে কালাচাঁদ দুদিন আগে কিছু টাকা আগাম চেয়ে নিয়েছিল, উমাকান্ত জিজ্ঞাসা করে জেনেছিল আত্তির মা-র জুর হয়েছে। ধনদাস উমাকাস্তকে ডেকে বলে দেয়, কালাচান্দকে এক মাস কাজে আসতে বারণ করবেন। ওর বউয়ের বসন্ত হয়েছে। সামনের মাসের পূৰ্ণিমার পরদিন থেকে যেন কাজে আসে। পূর্ণিমার পর কেন ? আছে আছে, কারণ আছে। এ রোগ হবাব পর একটা অমাবস্যা ও একটা পূর্ণিমা কেটে গেলে gछे3ि5 व्ल5ि भां । ধনদাস একবার শিউরে ওঠে ! "দ্যী৮. কুঁী কাণ্ড জানেন মশায় ? একেবাবে বাড়িতে গিয়ে হাজিব-বউয়ের ওপর মা-র দয়া হয়েছে, কিছু টাকা দিতে হবে ! সটান বৈঠকখানায় ঢুকে পড়েছে, বললেও কি নড়তে চায় ? শেষে ধমক দিতে রাস্তায় নেমে গেল। কালাচাঁদকে সে টাকা দিয়েছে কি না। এ প্রশ্ন উমাকান্ত জিজ্ঞাসা করে না, অবিকল পুতুলের মতো চেহারা নিয়ে মুকুল এবং মনোহরেরা আসবার পর থেকে ক-দিন মনটা তোলপাড় করছিল, লোকটার উপর তীব্ৰ আক্রোশ আবার নাড়া খেয়ে জেগে উঠেছিল। ধনদাস হঠাৎ তাকে জিজ্ঞাসা করে, কী ব্যাপার, মুখ এত শুকনো কেন ? চেহাবা এমন হচ্ছে কেন ? কী হয়েছে চেহারায় ? রোগ হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছেন যে দিন দিন ! ধনদাসের সরু গলাটার দিকে চেয়ে অনেক দিন পরে আবার উমাকাস্তের হাত নিশপিশ করতে থাকে { কালাচাঁদ দুদিন কাজে আসে না। পরদিন সে আসতেই উমাকান্ত তাকে ডেকে ধনদাসের হুকুম শুনিয়ে দেয়। W ছুটি কী রকম বাৰু ? মজুরি পাব তো ? কাজ করবে না মজুরি পাবে কী হে ! ধনদাসবাবু ও রকম মজুরি কাউকে দেয় ? তবে তোমায় বরখাস্ত করা হচ্ছে না, এক মাস পরে এসে যেমন কাজ করছিলে তেমনি করে যাবে। কালাচাঁদ তবু প্ৰতিবাদ জানায়-বাড়িতে রোগ, এখনই আমার রোজের দরকার বেশি, এখন বলছেন বিনে মাইনেয় ছুটি নিতে ! কালাচাঁদ উমাকাস্তকে বোঝাতে চায় যে ঘরে বোগব্যারাম থাকলে টাকার দরকারটা বেশি হয়। উমাকান্তের জানতে যেন বাকি আছে ! সে বলে, আমি বরং নিজের দায়িত্বেই আবও ক-টা টাকা তোমায় আগাম দিচ্ছি। মানুষটাকে তো চেনে কালাচাঁদ, আমার কী করার আছে বলে ? তিন দিন পরে কালাচাঁদ আবার এসে দাঁড়ায়। উমাকান্ত দম নেয়। কালাচান্দ টোক গেলে ।