পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

决8文 মানিক রচনাসমগ্র কী সত্যি কথা ? খামে লেখো না কেন ? একটা পয়সা লোকসান হয়। তাছাড়া, কাগজ কই ? মাগো বাবাগো ! কী ফ্যাকড়া বেঁধেছে কাগজ নিয়ে ! না চেয়ে মিলত আগে যত চাও তত, চাইলে পরে খিচড়ে ওঠে এখন ! নবীনকে দিয়ে দিস্তে দিস্তে কাগজ হেডমাস্টার বেচে দিত দোকানে। এবার মোটে দু-চার দিস্তে বেচলে-পায়নি তো বেচাবে কি ! তা দর যা হয়েছে। কাগজের, কি দিন্তে বেচে লাভ কিছু কম হয়নি। আর কিছুর দর বাড়েনি ? আ কপাল আমার ! থাপ করে কপাল থাপড়ে দেয়। চিস্তামণি, দর। যদি না বাড়বে। তবে দেশগা ছেড়ে হেথায় আসি ? পটল ভাবে, কাণ্ড বটে ! রাড়ির নাকি ঘরের অভাব, ভাতের অভাব ঘটে !!--তা সে একবার হবিষ্যি করুক আর তিন বেলা খাক ? বাবুর বাড়ি কচিকঁাচার পাল, কাপড় যত আছে, ছিড়তে লেগেই বনে যায় কাঁথা, এমনি রাঁড়ি ঘরে পুষতে বাবু একদম পাগল। কঁচা নয় যে খাটতে নারাজ, বুড়ি নয় যে চক্ষুশূল। এদের কত দাম এমনি সব বাবুদের কাছে ! পটল যাবে কলকাতা, তার দাদার ফিরতি বিয়ে। বাবু বললে, ওহে পটল শোনো, ঝি টেকে না জানো! বলে, পয়সা পাব বেশি, ৩োমার কলে খাটাও বাবু! সবাই যদি কলে খাটবে তো ঝি কে থাকবে ঘরে ? হিসেব বুঝিয়ে দি জলের মতো সাফ- পয়সা পাবি বেশি, এমন খাওয়া পাবি কোথা ? কঁকড়ে চালের মোটা ভাত দুবেলা খেতে যে বেশি পয়সায় কুলোবে না হারামজাদি ? তা কে শোনে কার কথা। মাসটি গেলে মাইনে নিয়ে ভাগে, অন্য কলে খাটতে যায় { আজ্ঞে ভালো খাওয়া ভাল লাগে না মাগিদের। পয়সা পেলে আধ পেটাতে খুশি। মন্দ দিনকাল পটল। সবদিক দিয়ে মন্দ। বাপের কালের ধানকােল আমার, ইদিকে সেই প্রথম। আজকে দ্যাখো, দেড়গন্ডা কল বসেছে। দু, চারটে সাঁওতাল ছাড়া জোয়ান মাগি একটা আসে না। কলে । ভাদুরী ব্যাটার শয়তানি চাল আর সয় না। পটল। प्रौgान ना, दाDी फूलद। হ্যা, যা বলছিলাম তোমায়। দেশের দিকে যােচ্ছ, যদি ঘর গোরস্ত এমন কাউকে পাও, আশ্রয় নেই কষ্ট পাচ্ছে, পারলে এনো দিকি একটা। খাবে পরবে। ঘরে থাকবে ঘরের মানষের মতো, বাচ্চা কটাকে দেখবে। আর এটা ওটা করবে। মাইনে পাবে না, ঘরের লোকের মাইনে কি ? নেহাত যদি চায়। তো না হয়। দুটো টাকা হাতখরচ বাবদ দেওয়া যাবে। বুঝলে না ? আজ্ঞে হ্যা। খোঁজ করব। বুড়ি ব্যারামি যেন না হয় বাপু । মাঝ বয়েসি স্বাস্থ্য ভালো এমনি কাউকে এনো। তা হাওড়ায় তার দেশের গায়ে আমন কাউকে মেলেনি-বয়স আছে, স্বাস্থ্য ভালো ! এমন মেয়েই কম গাঁয়ে। দুটাে চারটির বেশি কোনো কালে ছিল না। আজ তারা যেন কোথায় উধাও হয়েছে। উধাও কি হয়েছে ? না রোগাপটকা বনে গাঁয়েই আছে তাই ওই বন্ননা খাটে না ? বাড়ির মেয়েদের নিয়ে গেছে। কালীঘাটে, সেখানে দেখা চরণ দাসের সাথে। এ কথা সে কথার পর আপশোশ করে বলে, ইকি ব্যাপার আঁ ? কমবয়সি নয়, মাঝবয়সি নাদুস নুদুস মেয়ে একটা গাঁয়ে নেই ? বাবুর ফরমাশ ছিল। চরণ বললে, হালে এয়েছে গায়ের মেয়েদের সাথে একটা । জোয়ান মেয়ালোক। চেনা লোকের জানা বাবুর বাড়ি খুঁজছে আমার বাবু রাখবে। তোমার সেথায় ? ও খুঁজছে কলকাতায়।