পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় গরীবদের জন্য কৈলাস কিছু করিবেই করিবে, কেবল এই উদ্দেশ্যেই সে দাঁড়াইয়াছে।। কৈলাস কিছু করিতে পরিবে: কি না। এ বিষয়ে অনেকের মনে সন্দেহ থাকিলেও, তার উদ্দেশ্যটা যে কিছু করা, প্ৰায় সকলেই তা বিশ্বাস করিয়াছে। তারপর অনুপস্থিত কেদার। আর কৈলাসকে লইয়া কি করিয়া মারামারি বাধিবার উপক্ৰম হইয়াছে। কেদার কিছুতেই গেল না। নকুড় আর ছেলেটিকে সঙ্গে লইয়া কৈলাস দুটিতে ছুটিতে দাঙ্গা থামাইতে গেল। নেড়ী বাচন মরণের কথাতেও তারা মন দিতে পারে মা দুদণ্ডের বেশি, স্থির হয়ে বসতে পারলে তো স্থির করতে পারবে সােঝ বাবণের চাদ উঠে ফিকে হয়ে আসে ; তাবা বুঝতে পারে ছেলে দুটাে তার হৃদয়পণ্ডিতের দাওয়ার মাটিতেই ঘূমিয়ে পড়েছে। দুঃশাসনীয় এই সংগত লাগসই পরিবেশ। গ্রাম তো এই রকমি বাংলার রাত্রে, সব গ্রাম। গা ছমছম করত। ভয়ের সংস্কারে, प्ठ got 32 1 আজ ভয় পাবে } যে সব ভদ্রলোকের মাথা চিন্তা-বোঝায় ফেটে যাচ্ছে... সে বিষয় একান্তু অনভিজ্ঞ এই রকম স্বদেশি কোন দাঁত কপাটি লেগে সে মূৰ্ছা যাবে দুর্ভিক্ষে গাঁয়ের অধিকাংশের অপমৃত্যু-নিরুদ্ধার। তারপর সেই গাঁয়ে. তার কি সন্দেহ থাকতে পারে যে জীবিতের জগৎ পার হয়ে সে ছায়ামূর্তির জগতে এসে পৌঁছে গেছে... বেড়া দেখা যায়। 886 গরিবদের জন্য কৈলাস অনেক কিছু করতে পারবে কি না এ বিষয়ে অনেকের মনে সন্দেহ থাকলেও, তার উদ্দেশ্যটা যে কিছু করা প্ৰায় সকলেই তা বিশ্বাস করেছে। भी ब्रbनानभक्ष-१ श्रृं। २४७ তারপর কীভাবে যেন অনুপস্থিত কেদার আর কৈলাসকে নিয়ে দাঙ্গা বান্ধবার উপক্রম হয়েছে। মা রচনাসমগ্র-৫ পৃ ২১৪ মাঝখান থেকে মাথাটা ফাটবে শুধু। পুলিশ সামলে নেবে। লাঠির ঘায়ে। কাজেই কৈলাসও দাঙ্গা থামাতে গেল না। মা রচনাসমগ্র-৫ পৃ ২১৪ বঁাচন-মরণের কথাতেও তারা মন দিতে পারে না। দু দণ্ডের বেশি স্থির হয়ে বসতে পারলে তো স্থির করতে পারবে মন ! মা রচনাসমগ্ৰ-৫ পৃ ২৩০ সােঝ বরণের অন্ধকার চাদ উঠে আসায় ফিকে হয়ে আসে। তারা বুঝতে পারে, তার ছেলে দুটাে হৃদয় পণ্ডিতের দাওয়ার মাটিতেই ঘুমিয়ে পড়েছে। মা রচনাসমগ্র-৫ পৃ. ২৩২ এই সংগত লাগসই পবিবেশ ও পরিচয়। গ্রাম তো এই রকমই বাংলার, রাত্রে সব গ্রাম। গা ছমছম করত। ভয়ের সংস্কারে, ভয় পাবার ভয়ে, সত্যি সতি্যু ভয় পেয়ে নয় । আজ তার হাতিপুরে এলে ভয় পাবে, মা রচনাসমগ্র-৫ পৃ ১৭৩ যে সব ভদ্রলোকের মাথা চিন্তায় ফেটে যাচ্ছে, .. সে বিষয়ে একান্ত অভিজ্ঞ এইরকম ভদ্রলোক... দাঁতকপাটি লেগে মূৰ্ছা যাবে। দুর্ভিক্ষে গাঁয়ের অধিকাংশের অপমৃত্যু-নিবুদ্ধার এ জ্ঞান জন্মেই আছে। তারপর সেই গায়ে. তাদের কী সন্দেহ থাকতে পারে যে জীবিতের জগৎ পার হয়ে তারা ছায়ামূর্তির জগতে এসে পৌঁছে গেছে। বাড়ির সামনে ভাঙা বেড়া কত হয়েও দাঁড়িয়ে আছে।