পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 86łą দিল্লির পিপলস পাবলিশিং হাউস প্রকাশিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের Primeval And Other Stories অনুবাদ গল্প-সংকলনে (১৯৫৮) গৃহীত Craftsman নামে শিল্পী গল্পটি অনুবাদ করেছেন সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই একই অনুবাদ ঈষৎ পরিমার্জিত হয়ে কলকাতা থেকে প্রকাশিত Manik Bandyopadhyay : Selccted Storics 337 (ris (S& 8') air (? (2) (2 A*3 3.2 <533its গল্পের অনুবাদ করেছেন। সুতাপা নিয়োগী Concrete নামে। ইতিপূর্বে উল্লিখিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প-উপন্যাসের চেক অনুবাদ OPIUM-A JINÉ POViDKY গ্রন্থে (১৯৫৬) ‘শিল্পী’ ও ‘কংক্ৰটি’ গল্প দুটি গৃহীত হয়েছে। শিরোনাম যথাক্ৰমে UMĚLEC ar BETON পূর্বোল্লিখিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পের চীনা অনুবাদেও (১৯৪৭) কংক্রিীট, অনূদিত ১৪টি গল্পের অন্যতম। তাছাড়া পেইচিং গণসাহিত্য প্রকাশনালয় প্রকাশিত নির্বাচিত ভারতীয় ছোটোগল্পের একটি সংকলনে (প্রথম প্ৰকাশ ১৯৪৭) ফাং চিন শিং অনূদিত শিল্পী গল্পটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং ন্যাশনাল ফিলম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনেব যৌথ প্রযোজনায় ১৯৪৭ সালে শিল্পী গল্পটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে বুপায়িত হয়। পরিচালক নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। श्ल्ि “চিহ্ন” মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পনেরোতম উপন্যাস ও সাতাশ সংখ্যক মুদ্রিত গ্রন্থ। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়। মাঘ ১৩৫৩, জানুয়ারি ১৯৪৭-এ, উপন্যাসে প্রকাশকালের উল্লেখ নেই, “লেখকের কথা’ শীর্ষক ভূমিকা থেকে সময়কাল নির্ণয় করা যায। প্রকাশক বসুমতী সাহিত্য মন্দির, কলকাতা, পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪ + ১৯৬, দাম তিন টাকা। প্রচ্ছদশিল্পী গোপাল ঘোষ। গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে চিহ্ন দৈনিক বসুমতী’ পত্রিকার ১৩৫৩ নববর্ষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। চিহ্ন উপন্যাসের প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় লেখক পত্রিকায় প্রকাশিত পাঠের কিছু সংশোধন পরিবর্তন করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশিত উক্ত প্ৰথম পাঠের প্রতিলিপি সংরক্ষিত না হওয়ায় আপাতত সে বিষয়ে কোনো তথ্যনির্দেশ সম্ভব হয়নি। লেখক উক্ত ভূমিকায় উপন্যাসটি সম্পর্কে জানিয়েছেন যে এটি নতুন টেকনিকে লেখা, একে উপন্যাস বলা চলবে কিনা সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণে ছাত্রের মৃত্যু ইত্যাদি সংবাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাজনিত বিবরণ চিহ্ন উপন্যাসটিকে একটি তথ্যকাহিনির গুরুত্ব দিয়েছে। উপন্যাসের অক্ষয় চরিত্রের মধ্য দিয়ে যেন স্বয়ং লেখকের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। কমিউনিস্ট পাটির সদস্য হওয়ার পরবতী মানিকের জীবনযাত্রা, বিশ্বাস ও কর্মপদ্ধতির কিছু অনিবাৰ্য প্রভাব অব্যবহিত পরবতী চিহ্ন উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে। মানিক বন্দোপাধ্যায় ও প্রগতি লেখক আন্দোলন’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন থেকে চিন্মোহন সেহানবীশের কিছু অভিজ্ঞতালব্ধ মন্তব্য অধ্যাপক সরোজমোহন মিত্র তঁর মানিক বন্দোপাধ্যায়ের জীবন ও সাহিত্য’ (গ্রস্থালয় প্ৰা. লি, ১৯৪৭) গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন : মনে এল নীেবিদ্রোহের, রসিদ আলি দিবস বা ২৯শে জুলাইয়ের অগ্নিগর্ভ দিনগুলির কথা। এ সব দিনে মানিকবাবুকে দেখেছি কখনও মজুরদের মিছিলের সঙ্গে একাগ্ৰ মনে চলেছেন, কখনও ছাত্রদের সঙ্গে জুটে রাস্তায় বসে, কখনও সঙ্খ অফিসে অথবা কমিউনিস্ট পাটির দপ্তরে বসে তুমুল আলোচনা করছেন, কখনও বা পথচারীর কাছে জেনে নিচ্ছেন সংগ্রামের টাটকা খবর। আর এইসব টুকরো টুকবো অভিজ্ঞতা তার হাতে কখনও রূপ পেয়েছে চিহ্নে, কখনও জ্বলন্ত বিবৃতির, কখনও বা বড়ো উপন্যাসের উপাদানের। (পৃ ৭০)