পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট 8br@ দামি খাটের আধুনিক শয্যা যেন কামড়ায়। মা ইতিমধ্যেই স্নান সারিয়াছেন। মা বলিলেন, লাৰু পীতাম্বর ঠাকুরকে তাড়াতে চাইছে। তুই কী ঠিক করেছিস জানিনে। কিন্তু পীতাম্বর ঠাকুরকে তাড়ানো কি উচিত হবে ? উচিত হবে না কেন ? চিরকাল ওকে পুযাব বলে তো আনিনি ? পয়সা রোজগার করছে, এবার নিজের পথ দেখুক । আপশোশের আওফাজ করিয়া মা ললেন, তুইও বউমার মতো এলোমেলো চিন্তা করিস। তুই না তুকতাকে বিশ্বাস করিস না ? লাবু বলল তুকতাক করে আমাদের সর্বনাশ করছে।--তুইও আমনি ওকে তাড়াতে রাজি হয়ে গেলি ? বউমা যে উলটো বুঝেছে, ছেলেমানুশি করছে এটা বুঝলিনে তুই ? ওনাকে অপমান করলে তাড়িয়ে দিলেই যে সৰ্ব্বনাশ হবে। আমাদের। ও ভাবে ক্ষতি করতে চাইলে শত্ৰু ভালে করতে হবে তো ? তোর বাড়িতে থেকে তোর অন্ন খেয়ে তোর সর্বনাশের জন্য তুকতাক চালাতে গেলে পীতু ঠাকুর নিজেই মাবা পড়বে না ? লাবণ্য। তবে নিজের উদাস্তবতায় পীতাম্ববকে ক্ষমা করে নাই, মাৰ্ব্ব যুক্তি শুনি যা ভয় পাইয়াছে ! পরদিন সকালেই তাই সে পীতাম্ববকে বলিল, একটা ভাবী মুশকিল হল যে পীতুকাকু. মানুষটা কিন্তু বদলাইয়া গিয়াছে । আগের মত অব সেন বিচলিত হয় না, তুচ্ছ কাবণেও নয়, বড় কারণেও নয়। পীতাম্বরের মত তাকেও মোহন তাড়াইয়া দিতে পাবে, এ TDuBDB KE gDBBBB tLtLD0 DBS BkttED BBD eBDtB রাখতে দু মাস এক বছর বিলম্বের সম্ভাবনা কিতাব করে ESS aDBBDBBDB BE DBBDD DDDD DDSD DOD BBBB দিশাওরিা হতাশ কল্পনা অসম্ভব ফন্দিাফিকিবের ওয়াল বোনে utDSrSBk DB BDB SS SmDBSDDD SDDD S MBB DDgD DBB BBBS MKT aDuB agttDB BDDSESS প্ৰ সিং পু ১১৪ সংযোজন মা বচনাসমগ্ৰ-৫ পৃ ৮৯ भाभूशई अ बननांश्ा छि। অ্যাগের মতো আর সে বিচলিত হয় না। তুচ্ছ কাৰণেও নয়, বড়ো কাবণেও নয়। পীতাম্বরের মতো তাকেও মোহন ৩াড়াইয়া দিতে পারে, এ চিন্তায় আর আতঙ্ক জাগে না। কদমকে কাছে আনিয়া ব্ৰাখিতে ছ। মাস এক ধষ্টয় বিলম্বের সম্ভাবনা আমার তেমনভাবে কাতর করে না। আঞ্জকালের মধ্যে বড়োলোক হওয়া যাইবে না বলিয়া দিশেহাবা হতাশ কল্পনা নিয়া সে টাকা করার উদ্ভট অসম্ভব ফন্দিাফিকিবের জাল বোলে না। কীসে কী হয় কে বলিতে পারে ? দেখা যাক কী হয় ! পুরুষ মানুষ কারখানায় খাটিয়া খায়, কী আছে তার যে হারাইবার ভয়ে কাবু হইযা থাকিবে ? শ্ৰীপতি আজকাল এমনিভাবে ভাবে। দ্র সংযোজন একটা ধীর শাস্ত বেপরোয় ৬াব জ্ঞাগিতেছে। ধরিতে গেলে সে তো সর্বত্যাগী সাধক সন্ন্যাসী ! তার কীসের ভয়, কঁসের ভাবনা ? কদম ছিল অভ্যাস। নিছক অভ্যাস, পুরুষানুক্ৰমিক একটা নেশা। কদমের জন্যই দুর্গার মোহ সে জোর করিয়া কাটাইয়া উঠিয়াছিল-কদমকে বাদ দিয়া দিন কাঁটাইতে কটাইতে তার জন্য ছটফটানিও নিস্তেজ হইয়া আসিয়াছে। দুর্গার মতো কদমও মনেব মধ্যে ঝাপসা হইয়া আসিয়াছে, মাঝে মাঝে মনে পড়িয়া একটু মন কেমন করে, আর किछू नय। নেশ কাটিয়া আসিয়াছে। আর সে পাগল হইবে না। কদমের জন্য। দেশের ওই কদমের অভ্যাস কদমের নেশায় হঠাৎ ছেদ পড়ায় পাগল হইয়া আর তাকে ছুটিতে হইবে না। কদমেৰ প্ৰতিনিধি অন্য কোনো চাপা বা দুৰ্গার কাছে । দেহ মনে একটা অদ্ভুত শাস্ত দৃঢ়তা ও তেজ অনুভব করে শ্ৰীপতি । পুরানো নেশার ঘোর কাটিয়া যাইতেছে, পচা বঁধন খসিয়া পড়িতেছে- সে মুক্তি পাইতেছে। প্রতিদিন। নূতন জীবনের স্বাদ গন্ধও মিলিতেছে। জ্যোতির সঙ্গে আর তেমন তার বনিব্যুনা নাই। নতুন সাঙত জুটিয়াছে। কারখানায় তার সহকমী ভূপাল। জ্যোতির সঙ্গে কীভাবে গড়িয়া উঠিয়ছিল সাঙাতি আর ভুপালের সঙ্গে কীভাবে গড়িয়া উঠিয়াছে আঁততি ।