পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in জননী ܓ )? বাখাল বলিয়াছিল, যাক না যাক, মামা বাড়ি থেকে কদিন বেড়িয়ে আসুক। মন্দা বলিয়াছিল, ওরাও যাবে যে দাদা। উনি টিকিট কেটেছেন, এই নাও। শ্যামাকে ব্যাপারটা বলিবাব সময় মন্দা এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথনৰ্টকু উদ্ধৃত করিতেও ছাড়ে নাই, বলিয়াছে, দাদা কিছু টের পাযনি বউ, ভেবেছিল শাশুড়ি বুঝি সত্যি সত্যি শেষে মত দিয়েছে। ফিরে গেলে যা কাণ্ডটা হবে । পেটেব ছেলে চুরি করার জন্যে আমায় না শেষে জেলে দেয়। এদিক দিয়া শ্যামাব বিবাবিব সুবিধা ছিল, স্বামীর জননীর খেয়াল মতো কখনও তাঁহাকে পুতুলনাচ নাচিতে হয় নাই। তবু, মাঝে মাঝে শাশুড়িব অভাবে তাহার কী কম ক্ষোভ হইযাছে! আর কিছু না হোক, বিপদে আপদে মুখ চাহিয়া ভবসা করিবাব সুযোগ তো সে পাইত। মন্দা কোনো দায়িত্ব গ্ৰহণ করে না, কেবদল কাজ চালাইয়া দেয়। সেবাব যে শ্যামার ছেলে মরিয়া গেল সে যদি কাহারও দোষে গিযা থাকে অপরাধিনী। শ্যামা, মন্দার কোনো ত্রুটি ছিল না। কিন্তু শাশুড়ি থাকিলে তিনিই সকল দায়িত্ব গ্রহণ করিতেন, শুধু আঁতৃডে তাহাকে এবং বাহিবে তাহাব সংসাবকে সাহায্য করিয়া ক্ষান্ত না থাকিয়া ছেলেকে বাঁচাইযা বাখার ভারও থাকিত তাহারই। যে সব ব্যবস্থাৰ দোষে ছেলে তাহার মরিয়া গিয়াছিল সে তাহা বুঝিতে না পাবৃক শাশুডির অভিজ্ঞ দৃষ্টিতে অবশ্যই ধরা পড়িত। তা ছাড়া, স্বামীর মা তো পব নয় যে ছেলেকে সবদিক দিযা ঘোবিন্যা থাকিলে তাহাকে কোনো মায়ের হিংসা করা চলে! মন্দাকে শ্যামা সমর্থন কবিt.৩ পাবে না। বললে, ওদেব না। আনলেই ভালো কৰতে ঠাকুবঝি । মন্দা বলে, ভালো দিয়ে আমাব কাজ নেই বাবু- সে ডাইনি মাগিব ভালো। আদব দিয়ে দিয়ে BDBB BBB KBB DDuBDBBBDB BDBBDBDB BuBBB BBB BBBDSBBBSLLL BBDB BDBB BBB BBB BBBBD এখনই কেমনধৰিলা কবে দ্যাথো না ? কিন্তু এ কটা দিনে ওদেব তুমি কী কবতে পাবাবে ঠাকুবঝি ? ফিরে গেলেই তো যে কে সেই। মাঝ থেকে শাশুডিবা কতগুলো গালমন্দ খেযে মরবে। মন্দাব এ সব হিসাব কাবাই আছে। % একটু চেনা হযে, বইল। একেবাবে কাছে ঘোিষত না, এবাব ডাকলে টার্ক, লে একবাব দুবাব আসবে। একদিন বিষ্ণুপ্রিয়া আসিযাছিল। বিষ্ণুপ্রিসােব একটি মেযে হইযাছে। মেযেবা জন্মেব সময সেও শ্যামার মতো কষ্ট পাইযাছিল, শামাৰ ভাগ্যের সঙ্গে তাহাব ভাগ্যের পার্থক। কিন্তু সবদিক দিয়াই আকাশ-পাতাল, মেয়েটি তাহার মরে নাই, সোনার চামচে দুধ খাইয়া বড়ো হইতেছে। বিষ্ণুপ্রিয়ার শরীব খুব খারাপ হইয়া পড়িয়াছিল, কোথায় হাওযা বদলাইতে গিয়া সাবিন্যা আসিয়াছে কিন্তু এখনও তাহার চোখ দেখিলে মনে হয় রোগযন্ত্রণব মতোই কী একটা অস্তিবতা যেন সে ভিতরে চাপিয়া রাখিয়াছে। তা ছাড়া, তাহার সাজসজ্জার অভাবটা অবাক করিয়া দেয়। এমন একদিন ছিল সে যখন বসনভূষণে, কেশরচনা ও দেহমার্জনার অতুল উপাদানে নিজেকে সব সময় ঝকঝকে করিয়া রাখিত। ত্বকে থাকিত জ্যোতি, কেশে থাকিত পালিশ, বসনে থাকিত বর্ণ ও ভূষণে থাকিত হিয়ার চমক। এখন সে সব কিছুই তাহার নাই। অলংকার প্রায় সবই সে খুলিয়া ফেলিযাছে, বিন্যস্ত কেশরাজিতে ধরিয়াছে কতগুলি ফাটল, সে কাছে থাকিলে সাবান ছাড়া আর কোনাে সুগন্ধির ইঙ্গিত মেলে না। তাও মাঝে মাঝে নিশ্বাসের দুর্গন্ধে চাপা পডিয়া যায়। ঘনিষ্ঠতার বালাই না থাকিলেও মন্দা চিরকাল ঘনিষ্ঠ প্রশ্ন করিয়া থাকে। সাজগোজ একেবারে ছেড়ে দিয়েছেন দেখছি। বিষ্ণুপ্রিয়া হাসিয়া বলে, এবাব মেয়ে ও সব করবে।