পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOOkS. in পুতুলনাচের ইতিকথা 88S বলে দিতে হবে না, যেখানে যে অবস্থাতে থাক তাতেই মজা পাবে। অভ্যাস নেই। কিনা, তাই প্রথমটা অসুবিধা হচ্ছে। দুদিন পবে আর গ্রাহ্যও করবে না। তখন কী করব জান ? ওদের আসতে বারণ করে দেব । কেন ? বেশি দিন আমার কিছু ভালো লাগে না মতি। অনেক দিন পরে কলকাতা এলাম তাই একটু আডিডা দিচ্ছি, বিতৃষ্ণা জন্মালো বলে। দিন দুই পরে বনবিহারী একেবারে সস্ত্রীক আসিয়া হাজির হইল। জয়া একটু মোটা, তবে সুন্দবী। টকটকে রং, মুখখানা গোল, জমকালো চেহারা। চােখ দুটিতে ঝকঝকে ধারালো দৃষ্টি। তুমি তো গেলে না, আমি ভাই তোমাকে তাই দেখতে এলাম। তোমার ব্যাপারটা কি কুমুদ ? বিযে করে বউকে লুকিযে রাখলে ? ওঁকে তো অন্তত পাঠালাম সাতবার, তবু কি একবার মনে পড়ল না জয়া বলে একটা জীব কৌতুহলে ফেটে পড়ছে? গা থেকে বউ এনেছে শুনে অবধি অবাক মেনেছি। ধারালো চোখে জয়া মতিকে দেখিতে থাকে। বলে, কচি বলে কচি, এ যে ধাঁধা লাগালে কুমুদ । BBBB GSDB SJuSuD TDBB SB DBB BBB BBBBBSS STDBBB BBB BBBOu BBBSS aBB BDBB DBD খুকি। এদিকে, নোডে চেড়ে দেখি । বাজিযে দেখবে না ?--বনবিহাৰী বলিল । কুমুদ বলিল, স্পিড একটু কমাও জয়া, ভড়কে যাবে। পুতুল তো নয়। জযা হাসিল, মায়া নাকি ? শেষে মায়া করতেও শিখলে! মতির দিকে চাহিয়া বলিল, এসো না এদিকে, এখানে বোসো। প্রেজেন্ট কিন্তু আনিনি ভাই তোমার জন্যে, টাকায় কুলোল না। পবে কিনে দেব। খালি হাতেই ভাব করে যাই আজ। সাধাবণ একখানা শাডি পরনে, রানির যেন দাসীর বেশ। জয়ার বেশভুষা, কথাবার্তা, ভাবভঙ্গি মতির কাছে অদ্ভুত ঠেকিতে লাগিল। কুমুদের নাম ধরিয়া ডাকে গুরুজনের মতো, অথচ কথা বলে ফজলামি কবিয, এ কোন দেশি মেয়েমানুষ? প্রথম দেখাতেই জয়ার সম্বন্ধে মতির মনে একটা বিরুদ্ধভাবেবী সৃষ্টি হইয়া রহিল। কেমন একটা অদ্ভুত অনুকম্পাব ভাব জয়াব, মতিকে দেখিয়া তাব যেন হাস্যকর মনে হইতেছিল। ঘণ্টাখানেক বসিয়া জয়া চলিয়া গেল। মতির মনে হইল, ঘরে যেন একঘণ্টা ধরিয়া ম্যাজিক হইতেছিল,--ভোজবাজি! কী বলিল জয়া, কেন হাসিল, অর্ধেক সময মতি তা বুঝিতেই পারে নাই, শুধু কুমুদ ও জয়ার মধ্যে যে নিবিড অন্তবঙ্গতা আছে এটা টের পাইয়া বোধ করিয়াছে ঈর্ষা। নাম ধরে ডাকলে যে তোমার ? মতির প্রশ্নে কুমুদ কৌতুক বোধ করিল। আমরা বন্ধু যে মতি, অনেক দিনেব বন্ধু। মতি অবাক। মেয়েমানুষ বন্ধু? খানিকক্ষণ স্তব্ধ থাকিয়া বলিল, আচ্ছা ও যে তোমার সঙ্গে ও রকম করছিল, ওর স্বামী রাগ করবে না ? কী রকম করছিল? কুমুদ জিজ্ঞাসা করিল। মতি কথা বলিল না। কুমুদ বলিল, তোমার মন তো বড়ো ছােটাে মতি ? একটু পরে মতির চােখ দিয়া জল পড়িতেছে দেখিয়া হঠাৎ পাঞ্জাবি গায়ে দিয়া কুমুদ বাহির হইয়া গেল। বলিয়া গেল, ছিচকঁাদুনেও নাও কম।