পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in Gło R দিবারাত্রির কাব্য [ দ্বিতীয় ভাগ : রাতের কবিতা] পত্রিকারী পাঠ আনন্দের চোখে যে প্রশ্ন ছিল, তাব জবাবটা তাকে মুগ্ধ কবে দিয়েছে। <કારો, 1િ% s૭8s. ઝૂ ૭88 মালতী হেরম্বের দিকে তাকল, “বাবার আদেশে একটু একটু খাই হেৰম্বা।’

  • ७8(?

“আমােব গুরুদেব। শ্ৰীমৎ স্বামী প্রবুদ্ধানন্দ। পৃ ৬৪৫ “একজনকে বাডিতে ৬োকে এনে আসনে বসব ! স্বাৰ্থপৰ। আর কাকে বললে ? সন্ধা হতেই বা আব্ব দেবী কত ?” অনাথ তার কথা কানে তুলল না। আনন্দকে বলল “আমাৰ আসন কে সবিয়েছে আনন্দ ৮ “আমি জানিলে বাবা।” মালতী বলে ‘একটা বিষ পিঁপড়ে তাড়াতে তুমি ওব পায্যে হাত দিলে! প্ৰণাম কর আনন্দ । এরকম ফল হবে জানিলে হেরম্ব আনন্দোব । আঙ্গুল সািভয়ে পরিহার কবে মোত । অহিংস পিঁপড়েটিব বদলে বিষাক্ত কাঠপিঁপড়ে উঠলেও চুপ করে থাকত। সে বলে “থাক, থাক।” মালতী বলে “থাক, কি ? তুমি বয়সে বড়, গুবুজন। ওর অকল্যাণ হবে না । প্ৰণাম কবি আনন্দ ।” আনন্দ অত্যন্ত বিব্রত হয়ে পড়েছে। মাথাটা অল্প একটু নীচে নামিয়ে দুই কবিতল একত্র করে সে কপালে ঠেকায়। মালতী ওঠে বেগে । বলে “ও আবার কি ৮ং হল ? প্ৰণাম করতে জনিসনে তুই, বয়সের তোব গাছ-পাথবা নেই! পাযে হাত দিয়ে প্ৰণাম কর আনন্দ। অত তোব বাহাদুবী কিসের?” আনন্দ গোঁ ধরে বলে “ওই তো করলাম।” হেব্বস্ব বলে “থাকনা মালতী বৌদি। ছেলেমানুয লজ্জা পাচ্ছে।” তার আশঙ্কা হয় মেযের অবাধ্যতায় মালতী হযত রোেগ আগুন হয়ে উঠবে। কিন্তু তার পরিবর্তে মালতীর দুঃখই উথলে উঠল। বঙ্গশ্ৰী, আষাঢ় ১৩৪১, পৃ ৭৫০ মানিক রচনাসমগ্ৰ গ্ৰন্থখৃত পাঠ আনন্দোব চোখে যে প্রশ্ন ছিল, হেরম্বের নির্বক নিস্ক্রিয় জবাবটা তাকে মুগ্ধ কবে দিয়েছে। মা রচনাসমগ্র ১, পৃ ২৬৬ মালতী হেরম্বের দিকে তাকাল, বাবার আদেশে একটু একটু খাই হেৰম্ব। প্রথমে হয়েছিলাম। বৈষ্ণব।--ভক্তিমােগ পোষাল না। এবাব তাই জোবালো সাধনা ধবেছি। বাবা বলেন--- মা বচনাসমগ্র ১, পৃ. ২৬৭ আমাৰ গুবুদেব। শ্ৰীমৎ স্বামী মশালবাবা। --নাম শোনোনি ? দিবারাত্ৰি মশাল জ্বেলে সাধন করেন। মা রচনাসমগ্র ১, পৃ ২৬৭ একজনকে বাড়িতে ডেকে এনে এমন নিশ্চিন্ত মনে বলতে পাবলে আসনে বসব ? কে তোমাত্র অতিথিকে শ্রাদব কববে শুনি ? স্বাৰ্থপৰ আব্ব কাকে বলে। সন্ধা হতেই বা আল দেবি কত, এা ? অনাথ তাব কথা কানে তুলল না। এবাব আনন্দকে জিজ্ঞাসা কবল, আমাৰ আসন কে সবিযেছে আনন্দ পা আমি তো জানিনে বাবা ? মা রচনাসমগ্র ১, পৃ. ২৬৮ মালতী বলে, একটা বিষপিঁপড়ে তাড়াতে তুমি ওব পায়ে হাত দিলে। --- আহা কী কবিস আনন্দ, কবিস নে, পায্যে হাত দিয়ে প্ৰণাম করিস নে। কুমাবীব কাউকে প্ৰণাম করতে নেই জানিস নে তুই ? আনন্দ হোিবশ্বকে প্ৰণাম কলে বলল, তোমাব ও সাল অদ্ভুত তান্ত্রিক মত আমি মানি না মা। হেবম্বেব আশশুকা হত্য মেযোেব অবাধ্যতায় মালতী হয়তো রেগে আগুন হয়ে উঠবে। কিন্তু তাব পাবিবর্তে মালতীর দুঃখই উথলে উঠল। মা বচনাসমগ্র ১, পৃ ২৭৩