পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in আদি পাগুলিপি আনন্দ হঠাৎ বেমানান শ্ৰান্তস্বাবে বলে, “কী বৃষ্টিই নেমেছে। সমুদ্রটা পৰ্যন্ত বোধ হয। ভিজে গেল।” হেব্বস্ব কথা বলে না। জানােলা দিয়ে বাইবে তাকিয়ে থাকে। বর্ষা নামলে ঘরে যদি মানুষের মন না বসে মন তবে নিবুপায। অসহযোগী চিত্তে তার স্মৃতিব আবির্ভাব হয়। সুপ্রিয়াব কাছে যাওয়ার সময় বঁচি ও হাজারিবাগোব মাঝামাঝি পথে প’পাড়েব উপব দাঁড়িয়ে সে এক অপবুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখেছিল, একটি অতুল অচঞ্চল মৃত্তিকাসাগব। পথেল সেই স্থানটিল উচ্চতা কে যেন মেপে ঠিক করে বেখেছিল, দিগন্তপ্ৰসাবী সমতলভূমি এত নীচে নন্য যে ধোঁয়াটে দেখাবে, আবার এত কাছেও নয় যে বুক্ষ বন্ধুরতা চোখে পড়বে। সুপ্রিয়াব চেযে পথে কুড়ানো সেই পার্থিব বৃপের ছবিই হেরম্বেব বেশী মনে পড়ে। কয়েকটি বিশিষ্ট অবসবে সুপ্রিয়াব কথাও সে ভাবে। দৈহিক ক্ষুধাতৃষ্ণ নিবৃত্তিব মত সুপ্রিযাব চিন্তা মাঝে মাঝে এক বিচিত্ৰ কাৰণে তব প্রয়োজনীয় মনে হয়। সুপ্রিয়ার কথা মনে পড়াব আগে তাব মধ্যে একটা আশ্চৰ্য্য BBBB BBBD B D0BSS MeB BBB BBB D BBBDB gBBB yeBDBB BDB BBBDB BBB KrBBB BS সতীক্ষ আনন্দ ও মূৰ্ছামস গাঢ় বিষাদে ততক্ষণ সে এমনি আচ্ছন্ন থাকে যে তাব সমগ্ৰ চেতনা আনন্দ ও আনন্দেব সম্পর্কিত ছোট বড় প্রধান অপ্রধান ঘটনাবলীকে সহজে অতিক্রম কবে যেতে পালে না। পথে বেরিয়ে অন্যমনে৷ হাঁটতে হাঁটতে সে যখন সহরের প্রান্তবৰ্ত্তী সাদা বাড়ীটির কাছে পৌছায় তখন থেকে সুরু করে তাৰ মন ধীবে ধীরে পার্থিব বিষনে সচেতন হয়ে উঠতে থাকে। সে স্পষ্ট বুঝতে পাবে একটা কাল্পনিক রঙীন স্তিমিত আলোব জগত থেকে সে পুথিবীব দিবালোকে নেমে আসছে। ধূলিময় গোবু যা রঙের পথ, পথেব জনতা, দুদিকেব। দোকান ও বাড়ীঘব তার কাছে ফোকাস-না-কবা দূরবীণের দৃশ্যপট যেমন ঝাপসা হয়ে থাকে তেমনি অস্পষ্ট হয়েছিল, ক্ৰমে ক্ৰমে সব উজ্জল ও সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। পৃথিবীতে সে যে এক নয়, শোণিত-সুলা সন্তপ্ত তুদয় নিযে জীবনেব। চিরন্তর ও অনভিনব সুখ দুঃখে বিচলিত হয়ে অসংখ্য নরনারী যে তাকে ঘিবে আছে। [ অসম্পূর্ণ বাক্যে পৃষ্ঠাটি শেষ হয়েছে, পরের পৃষ্ঠা পাওযা যায়নি। । go-gs বাইরে। মানুযেল স্তব বলতে আমি কি বোঝাতে চাই তোমাকে বুঝিয়ে বলি। আমার সামনে তুমি আছ আল তোমাব থাকাটা আছে। তুমি একস্তরেব, তোমাব অস্তিত্ব আৰ এক স্তরেব। তুমি উঠে চলে গেলেও তুমি যে এই সিডিতে বসেছিলে এটা চিবকাল সত্যু হয়ে থাকবে। কিন্তু সেই সঙ্গে আরও একটা সত্যের সৃষ্টি হবে যে তুমি এখানে বসে নেই। এটাও তোমাব অস্তিত্বের স্তরের সত্য, কিন্তু বিবুদ্ধধৰ্ম্মী। এ দুটো সত্যকে তুমি মেলাতে পার পি * “না। আমাৰ মাথা ঘুবছে। তবে আমার মনে হচ্ছে অস্তিত্বের স্তরে যখন স্থান নেই তখন আমার থাকা না থাকাটাকে সিডিতে বসে থাকা না থাকা বলে ধরা চলে না।’ হেব্বস্ব খুন্সী হয়ে বলে, ‘কে বলে তোমাব মাথা ঘুবছে। তুমি ঠিক বুঝতে পাবছি। আচ্ছা স্থানকে যদি বাদ দিই? কোথায় কিভাবে এসব বাদ দিয়ে যদি ধরি তুমি আছ আর তুমি নেই এই দুটাে সত্যকে ?” “কিন্তু আমি যদি আছি তা হলে আবাব না থাকব কি করে ?” “তুমি সতাই আছ ?” “নিশ্চয়। না থেকে যাব কোথায় ?” “তই শুনতে চাচ্ছিলাম। কি করে যাবে কোথায় বললেপ না থেকে ? তোমার না থাকাটাও তা হলে মিথ্যা নয়। আনন্দ প” আনন্দ বিতুল হয়ে বলল, “এ আবার কি হ’ল!”