পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in ○ ひやり মানিক রচনাসমগ্র ‘কেন, আমি যেতে জানি না ?” ‘তবু—” “ফিবে যা হেরম্ব, ফিবে যা। আমার স্বাধীন চলাফেরায় বাধা দিলে এমন শাস্তি পাবি, জন্মে ভুলবি না।” “কি শাঙি দেবেন মাতাজী ?” আনন্দকে সঙ্গে নিযে যাব, তোকে নেব না। চোখের দেখাও দেখতে পাবি না।” "মাতাজী, আর দুটাে দিন থেকে যান। এ বড় আকস্মিক হল।” মাতাজী হাসিয়া বলিলেন, ‘হঁ্যারে মুখু, তুই না ভালবাসিস ?” হেরম্ব চুপ কবিল এবং দাডাইল। মাতাজী অগ্রসব হইযা গেলেন। ত্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ পুরীতে আসিয়া’ই মাতাজী যে ধনী ভক্তটিকে আয়ত্ত করিয়াছিলেন, তার নাম অক্ষয়। বৈকালে ব্যস্ত সময় হইয়া তিনি উপস্থিত হইলেন। “সৰ্ব্বনাশোক কথা, মাতাজী কোথায় গেলেন আজ হঠাৎ ?” ‘কোথায় ?” “আমি তো তাই জিজ্ঞাসা কবছি। কাল আমাব বাড়ী হােম কববেন, আর আজ উনি চলে গেলেন 2 ছোট শালাকে তুলে দিতে ষ্টেসানে গিয়েছিলাম, দেখি মাতাজী সেকেণ্ড ক্লাস কামরায় বসে আছেন। সঙ্গে মোটাসোটা একজন সন্ন্যাসী---” স্বামিজী বাগা হেরম্ব বলিল, “তাবপব প’ “কোথায যাচ্ছেন জিজ্ঞাসা কবতে মাতাজী একেবারে খোঁকিয়ে, মানে, ধমকে উঠলেন। তা ধমকান, সন্তানের তাতে দুঃখ নেই, কিন্তু আমি এখন কি কবি ? হু সাত শ' টাকাব্য জিনিষপত্র কিনেছি, সব নষ্ট হবে নাকি ?” ‘মাতাজী ফিবে এলে হোম হতে পাববে।” "অসম্ভব। এ যা হোম, কাল ছাড়া বারো বছরের মধ্যে আব্ব দিন নেই।” “অন্য কাউকে দিয়ে কালান না ?” "মাতাজীব হোম অন্যে পারবে কেন ?” চারিদিকেই মাতাজী আটঘটি বাঁধিয়া গিয়াছেন। কি একখানা ব্রেন! উঠিবার আগে অক্ষয় বলিলেন, "মাতাজী দুশো টাকা আগাম দক্ষিণা নিয়েছেন, তা নিন, সেজন্য দুঃখ নেই, বরং আনন্দেবই কথা—সৌভাগ্য। কিন্তু হােম হবে না, বড় দাগ লাগল প্ৰাণে।” আনন্দ সবিস্ময়ে সলিল, “হোম না হলে প্ৰাণে দাগ লাগলে কেন ?” হোিবশ্ব বুঝাইয়া বলিল, “মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক এমন ঘনিষ্ঠ যে একজনের প্রাণে দাগ লাগলে BDDBBB KBBD DSDD DDD0S ‘দাগ কি ?’ ‘দাগ’ প দাগ হচ্ছে দাগ-পুড়ে গেলে যে দাগ থাকে তাই। আনন্দ বুঝিতে পারিল না। কিন্তু গম্ভীব হইয়া বলিল, ‘আগুনে পুড়লে ভীষণ জ্বালা করে--প্ৰাণে দাগ লাগলে প্রাণও বুঝি জুলি করে?” ‘হা গো, করে! আগুনে পোড়ার চেযেও বেশী জ্বালা করে।” “সতি ৮' আনন্দের আজ বেড়ানোর সাধ নাই। ঘবে বসিয়া থাকিতে আজ তাহার ভাল লাগিতেছে। বোগটা হেরম্বোব এবং অবশ্যই সংক্ৰামক কিন্তু আনন্দোব পক্ষে নয়, তাহাব অসুখ মৌলিক। সন্ধাব পাব চাদ উঠিল। কত আপোগাণ্ড শিশু নরনারী এই চাঁদের আলোয় পবশ্বম্পরেব গালে চুমা দিতেছে কে জানে ? মেয়েটির গলায় নকল মুক্তার মালা—তারই চিঠি পাওয়ার আনন্দে সাইকেল হইতে পড়িয়া ছেলেটির হাত ভাঙ্গিয়াছে। হাঁটু কাটিয়া রক্তারক্তি। ওবা বঁচিয়া থাক। ওরা সাধাবণ ওরা স্বাভাবিক, জগতে ওরা সব চেয়ে দামী। লোেহ ব্যবসায়ীর সংযম ওদের, দৃঢ়, কঠিন, নীরস - বহুরে একটির বেশী খোকাও নয়, খুকীও নয়। একটু অধর সুধা খাইয়া আজ ওরা উপবাস করিবে, কারণ আকাশে চাঁদ উঠিয়াছে। না, সেজন্য নয, ক্ষুধা পায় নাই বলিয়া। কালের জন্য ওদের স্টুডি-ভোজনের ব্যবস্থা।