পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in জননী しアの মতো একটা মোটল কিমবে। শওকবের মতো মোটর ? শীতলের জেল হইবার পর শঙ্করের মোটরে তার যে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হইয়াছিল। সে অপমান বিধান কি মনে কবিয়া রাখিয়াছে? রাত জাগিয়া তাই এত ওর পড়াশোনা ? শীতলের কথা বিধান কখনও বলে না। পড়া শেষ করিয়া ছেলে শুইতে আসিলে শ্যামা কতদিন প্রতীক্ষা করিযাছে, চুপিচুপি বিধান হয়তো জিজ্ঞাসা করিবে, বাবা কবে ছাড়া পাবে মা ? কিন্তু কোনোদিন বিধান এ প্রশ্ন কবে না। যে তীব্র অভিমান ওর, হয়তো বাপেব জেলা হওযাব লজ্জা ওকে মুক করিয়া বাখে, পরের বাড়ি তারা যে এভাবে পড়িযা আছে এ জন্য বাপকে দোষী করিয়া মনে হয়তো ও নালিশ পুরিয়া রাখিয়াছে! আলোটা নিভাইয়া শ্যামা বিধানেব। মাথার কাছে লেপেব মধ্যে পা ঢুকাইয়া বসে। একপাশে ঘুমাইযা আছে বকুল, মণি ও ফণী, এপাশে অবোধ বালক বুকে ক্ষোভ ও লজ্জা পুরিয়া এত রাত্রে জাগিয আছে। শ্যামা ছেলের বুকে একখানা হাত রাখে। বেডার ফুটা দিয়া জ্যোৎস্নার কতকগুলি রেখা ঘরের ভিতবে আসিয়া পড়িয়ছে। বাগানে শিয়ালগলি ডাক দিয়া নীরব তইল। বোেডাব ব্যবধান পার হইয়া পাশেব ঘবে রাখালেব মামাতো বোন রাজবালার স্বামীর সঙ্গে ফিসিফিস কথা শোনা যায়, বাজবালাব স্বামী আদালতে পাঁচিশ টাকাব চাকবি করে। পাঁচশ টাকায় অত ফিসফিস কথা ? শ্যামাব স্বামী মাসে তিনশো টাকাও বোজগার কবিয়াছে, নিজেব বাডিতে নিজেব পাকা শয়নঘবে স্বামীর সঙেগ uBBDB BB ES DBD DBDSS BB DBBB uB BBD MLB yBBBB DLLS কদিন পবে শ্যামাব বাডিবিক্ৰিয সমস্যার মীমাংসা হইয়া গেল। হারাণ ডাক্তার মনিঅৰ্ডারে পাঁচিশটা টাকা পাঠাইয়া লিখিলেন বাডিতে তিনি নূতন ভাডাটে আনিযৗছেন, তাব পবিচিত লোক। ভাড়া আদায় কবিয়া মাসে মাসে তিনিই শ্যামাকে পাঠাই যা দিবেন। শ্যামাব মুখে হাসি ফুটিল। পাঁচশ টাকা ? পাঁচ টাকা ভাডা বাডিয়াছে? এখন তাহার বাজবালার স্বামীব সমান উপাৰ্জন ৷ কপাল হইতে কয়েকটা দুশ্চিন্তাব চিহ্ন এবার মুছিয়া ফেলা চলে। মাসখানেক পরে একদিন সকালে কোথা হইতে শঙ্কৰ আসিয়া হাজির। গায়ে ব্লেজাবের কোট, তলায় স্ট্রাইপ দেওয়া শার্ট, পরনে শান্তিপুবে ধুতি, পায়ে মোজা, –কলিকাতায় বোঝা যাইত না, এখানে তাহাকে শ্যামার ভাবী বাবু মনে হইল, রাখালেব এই বাডিতে। শ্যামা লৈ ধতেছিল, পবনের কাপড়খানা তাহার ছেড়া হলুদমাখা, হাতে দুটি শাখা ছাড়া কিছু নাই। কলিকাতা হইতে কে একটি ছেলে তার সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছে শুনিয়া সে কি ভাবিতে পারিয়াছিল সে শঙ্করা! শঙ্কর কোন বনগা আসিবে? শ্যামাকে শঙ্কর প্রণাম কবিল। শ্যামার গর্বোেব সীমা রহিল না। মোটা হলুদ-মাখা ছেড়া কাপড় পবনে ? কী হইযাছে তাতে । সুপ্রভা, মন্দা, রাজবালা সকলের কৌতুহলী দৃষ্টিব্য সামনে রাজপুত্ৰ প্ৰণাম তো করিল। তাহাকে!! খুশি হইয়া শ্যামা বলিল, যাট যাট, বেঁচে থাকো বাবা, বিদ্যাদিগগজ হও! কী আবেগ শ্যামার আশীবর্চনে! শঙ্করের মুখ লজ্জায় রাঙা হইয়া গেল। তারপর শ্যামা জিজ্ঞাসা করিল, বনগা এসেছি কোন শঙকব ? শঙকব বলিল, ক্রিকেট খেলতে এসেছি মাসিমা, এখানকাব স্কুলের সঙ্গে আমাদের স্কুলের ম্যাচ। শ্যামা, বিধান, মণি সকলেই শঙ্করকে দেখিয়া শি হইয়াছে। অভিমান করিয়াছে বকুল। পুজোর সময় আসব বলে এখন বাবু এলেন, বলিযা সে মুখ ভার করিয়া আছে। কবে শঙ্কর বকুলের কাছে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিল পূজাব সময় সে বনগাঁ আসিবে সে খবর কেহ রাখিত না, বকুলের কথায় বড়োরা হাসে, শঙ্কর শ্যামার দিকে চাহিয়া সলজভাবে কৈফিয়ত দিযা বলে, পুজোর সময মধুপুর গেলাম যে আমরা !!--তোকে চিঠি লিখিনি বিধান সেখান থেকে? বকুল অর্ধেক ক্ষমা করিয়া বলে, তোমার জিনিসপত্র কই ? শঙ্কর বলে, বোর্ডিং-এ আমাদের থাকতে দিয়েছে, সেখানে রেখেছি।