পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Sე\sტ মানিক রচনাসমগ্ৰ ত্ৰিষ্টুপের মনে হইল-মণীশ যেন তাকে গাল দিয়াছে। তার সঙ্গে বিবাহ হইলে কুন্তলা সুখী হইবে না । সে যে কুন্তলাকে বিবাহ করিতে রাজি হইয়াছে, তাই কি মেয়েটার পরম সৌভাগ্য নয় ? মণীশ কি এমনই মুখ্য যে, এই সহজ কথাটা তার কাছে এখনও ধবা পড়ে নাই, তার সঙ্গে বিবাহ না হইলেই চিরদিনের জন্য কুন্তলা অসুখী হইয়া যাইবে ? তার সঙ্গে ছাড়া আর কারও সঙেগ সুখী হওয়ার উপায় এ জীবনে কুন্তলার আর নাই ? আমার সঙ্গে কুন্তলা সুখী হবে না ? DD DBDSBBBBD DDB DBB DDSDD BBB BBD DBDS মণীশ কি তামাশা করিতেছে তার সঙ্গে ? সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে ত্ৰিষ্টুপ তার মুখ দেখিয়া মনেব ভাব অনুমান করিবার চেষ্টা করে। কিছু বুঝিতে না পাবিয়া বলে, আপনি ওর মত জানেন ? भऊ छानि नां । भन अनि। তবে ? মণীশকে আশ্চর্য হইয়া যাইতে দেখিয়া ত্ৰিষ্টুপ বুঝিতে পাবিল, প্রশ্নটা একটু গোয়ারেব মতোই কবা হইয়াছে। এটা ঠিক প্রশ্ন হয় নাই, হইয়াছে কৈফিয়ত তলব। কুন্তলাব মনের ভাব কী, সে বিষযে যেন কাবও কোনো সন্দেহই থাকিতে পারে না ; সুতরাং কুন্তলার মন জানিয়াও মণীশ অমত কবিতেছে কেন ? হঠাৎ একটা কথা ভাবিয়া ত্ৰিষ্টুপের বুকের একটি স্পন্দন স্থগিত হইয়া যায। কুন্তলাব মনোভাব সম্পর্কে সে এত নিশ্চিত হইল কীসে ? তার জন্য কুন্তলার হয়তো কোনো মাথাব্যথা নাই, সবটা তার নিজেরই কল্পনা ? কুন্তীর সঙ্গে কি তোমাব কোনো কথা হয়েছে, ত্ৰিষ্টুপ ? माँ ! তবে ? মণীশের পালটা প্রশ্নে ক্রিষ্টপ একেবাবে নিভিয়া গেল, মৃদুস্বাবে বলিল, আপনাকেই জিজ্ঞেস করছিলাম। তা করনি ভাই। তোমার কথা শুনে মনে হল আমাৰ চেযে কুন্তীব মন তুমিই ভালো জানো। এ তো ভাবী মুশকিলে ফেললে তুমি আমাকে ! আমার তাই মনে হয়। অবশ্য আপনি যদি বলেন--- আমার কথা কি তোমার বিশ্বাস হবে ? আমি হলাম। ওব দাদা, গুবুজন । তুমি ভাববে, আমি কিছু জানি না, বুঝি না, কিংবা জানলেও কর্তামি করার জন্য ছেলেমানুষি বলে সব উড়িযে দিচ্ছি। তার চেয়ে এক কাজ করি, ওকে ডেকে দি। তুমি নিজেই ওর সঙ্গে কথা বলে দেখ। ত্ৰিষ্ট্রপ অভিভূত হইয়া বলিল, ও ছেলেমানুষ তবে ওর মনেব কথা তুললে কেন ? মণীশের কণ্ঠেব বৃক্ষতায় আহত হইযা ত্ৰিষ্টুপ খানিকক্ষণ চুপ করিয়া রহিল। সে জন্য ছেলেমানুষ বলিনি। আমি বলছিলাম, আপনার অমত আছে জেনে ও হয়তো মনোেব कथों दकल श्राद्धद मां } মণীশ একদৃষ্টি তার মুখের দিলে চাহিয়া থাকিয়া বলিল, জানো তিক্ট, তোমার মনের এই জটিলতার জন্যই আমি অমত করছি। সহজভাবে কিছু গ্ৰহণ করবার ক্ষমতা তোমার নেই। আমার মত আছে, কি অমত আছে, কুন্তী জানবে কী করে ? আজ এসে তুমি প্রথম কথা তুললে। এ বিষয়ে আমরা কখনও আলোচনা করিনি। আমি বুঝতে পারিনি। মণিদা। মুশকিল তো হয়েছে সেইখানে। সব কথাই তুমি নিজের মতো করে বুঝে নাও। যেভাবে তুমি নিজে বুঝতে চাও সেই ভাবে।