পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রন্থপরিচয় 8 ዒዒ 'চলস্তিকা’ আশ্বিন ১৩৫৫ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘বাগদীপাড়া দিয়ে’ গল্পের পত্রিকা পাঠ ও পাঠে সামান্য কয়েকটি পরিবর্তন লক্ষিত হয় : বাগদীপাড়া দিয়ে পত্রিকারী পাঠ বাগদীপাড়ার মেয়েমন্দ কারো আর না খেটে রেহাই নেই। গুড়মুড়ি দেয়নি। এত বেলায় এসে তাকে বসিয়ে রেখে নিজে আরামে নাইতে খেতে গেল। তা হবে বৈকি, বেলগাছের দেবতার মতই এরা নিষ্ঠর। মাথায় বাকি দিয়ে দুলে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে। বলে. শ্ৰীমন্ত দাৰুণ আতঙ্কে বলে বসে বলে,-“একদল বদ-বেজাত যে বাগদীপাড নষ্টাৎ কবে। দিচ্ছে-সেদিকে তুমরা গা করবে না ? কাবখানায় খাটতে যায় সকবনে শোগুলে’, সু, সিমাজ ছাবখাবে দিলে। কি বসে শুনবে ? শ্ৰীমন্তু একটা আজ্ঞাসূচক আওয়াজ কবে বলে প্রার্থনা জানায়-সজ্জাত যারা তাব শত্ৰু তারা ধ্বংস হয়ে যাক ; দেবতার রোষ পিতৃপুৰুষের কোপ জমিদাবি পুলিশের ক্ৰোধ হয়ে এসে তাদেব ধ্বংস করে দিক । মনে মনে দুলে অনেক কিছু মানত কবে। বহুকাল আগে বাগদীরা যখন রাজার হয়ে লড়াই কবিত তখন রাজা-জমিদারের প্রজা লেঠেল-পুলিশ আর বেগারদারি, . পচাই-খাওয়া, মেয়েপুবুষে যথেচ্ছাচারী, ব্ৰাহ্মাণের ছায়াडैीबू. গ্রন্থস্থত পাঠ বাগদিপাড়াব সব মন্দ পুরুষকে খাটতে হবে। মা রচনাসমগ্র-৬ পৃ ২৬৭ গুড়মুড়ি দেয়নি। বেলগাছের দেবতার মতোই এরা নিষ্ঠুর। “ মা রচনাসমগ্র-৬ পৃ ২৬৭ [ অংশটি নেই । শ্ৰীমস্ত অত্যন্ত মিষ্টিগলায় বলে । বলে, একদল বদবেজাত, যারা কারখানায় কাজ করতে যায় না ? বাগদিপাড়া ওরা নষ্টাৎ করে দিচ্ছে। কী বলে শুনবে ? মা বচনাসমগ্র-৬ পৃ ২৬৮ শ্ৰীমন্ত ব্যঙ্গ করে বলে মা রচনাসমগ্র-৬ পৃ ২৬৯ প্রার্থনা জানায়। বলি মানত করে। মা বচনাসমগ্র-৬ পৃ ২৬৯ গোড়ায় বাজা-জমিদারের ওপজা-ঠেঙানো লেঠেল-পুলিশি আর বেগারদাবির, भी ब्रष्ननिभथ-७ श्रृं। २७२ পচাই খাওয়া মেয়ে পুরুষকে, যথেচ্ছাচারী ব্ৰাহ্মণের ছায়াভীরু.. भी ब्राष्मानभथ-७ श्रृं। २१० এই পরিবর্তনে, বাগদি,সমাজের যে গুণগুলি ছিল একান্ত তাদেরই নিজস্ব, তার একটিকে বাগদিদের কাছ থেকে তুলে এনে ব্রাহ্মাণ সমাজের বিশেষণ করে দিয়েছেন। তাই এই পরিবর্তনটি মনোযোগ দাবি করে। দুলারী নামের বাগদি মেয়েটি কারখানায় খাটতে গিয়ে শরীর দিতে বাধ্য হয়েছে। এ কথা বলার পর গ্রন্থভুক্ত পাঠে আছে উথলে উঠেছে তার যৌবন’। পত্রিকার পাঠে বাক্যটি ছিল না। কোথাও কোথাও লেখক শব্দসংকোচনও ঘটিয়েছেন। ‘ভয়ঙ্কর’ নাটকটি “বুপমঞ্চ” পত্রিকায় শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৫১ সংখ্যায়। যেমনভাবে প্রকাশিত গল্পগ্রন্থে সেভাবেই গৃহীত হয়েছে। সামান্য দু-একটি সংলাপগত সংস্কার ছাড়া অন্য পরিবর্তন নেই বললেই হয়। তবে পত্রিকায় মঞ্চনির্দেশ ছিল না, মঞ্চ থেকে সকলে নিম্প্রকান্ত হলে ‘কিছুক্ষণ বাদে বৃষ্টির বর্ষণ ও ভেকের ডাক শোনা যাবে।” এইবুপি লেখা ছিল। গল্পগ্রন্থে মঞ্চনির্দেশ আছে-“বিস্তৃত পেনোর মাঠ। দুৰ্যোগ ঘনিয়ে আসছে। প্রসাদ একা। ভয়ে ভাবনায় তার থমথমে চেহারা।” পত্রিকায় একস্থানে দৃশ্যান্তর লেখা, গল্পগ্রন্থে শব্দটি নেই, কেবল স্পেস নির্দেশ করা আছে।