পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র সপ্তম খণ্ড.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(RF) (ÞG! TsS Sx€ዕፄ শোধরাতে পারবে কী পারবে না। সে ভিন্ন কথা। তারই জন্য মাতাল হয়ে থাকলে মাতাল স্বামীর ঘর সাধনাকে করতেই হবে ! অবশ্য, তারই জন্য রাখাল এই মারাত্মক কাণ্ড শুরু করেছে কিনা সাধনা তা জানে না। রাখালের মদ খাওয়ার কোনো সঠিক মানেই ঢুকছে না। তার মগজে। কয়েকদিন ধৈর্য ধরে রাখালের এই নতুন ব্যাধির মানেটা বুঝবার চেষ্টা তো অন্তত করতে হবে সাধনাকে। মশা রক্ত শোষণ করে রক্তে রেখে যায় ম্যালেরিয়া-শোষক সমাজকে শুষে রেখে দেয়। বেকারত্ব ইত্যাদির অভিশাপ। এই তো সেদিন সাধনা রাখালের বেকারত্বকে ব্যাধি বলে ভুল করেছে, অনেক অন্যায় করেছে। পরে নিজের ভুল বুঝে নিজেকে অনেক ধিক্কার দিয়েছে সে জন্য। রাখালের বেকারত্বের ব্যাধিটাও ছিল তার কাছে কল্পনাতীত ব্যাপার। রাখাল বেকার হয়েছে এটা যেন ছিল রাখালেরই অপরাধ, এত লোকে চাকরিবাকরি করছে। তবু রাখাল কোন যুক্তিতে বেকার হয়-এই ছিল তার বিচার ! পাড়ার অনেকেই মদ খায় না রাখাল কেন মদ খাবে-এ রকম সিধে বিচাবি করে শেষ সিদ্ধাস্ত কবা। আজ অসম্ভব হয়ে গেছে। সাধনার পক্ষে। BDDBBLSeiBe DDSDD BDB DBDBD BBDS সাধনা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, মেয়েমানুষের যন্ত্রণার কি অস্ত আছে ? মানুষটার রকম-সকম সুবিধে লাগছে না ক-দিন ধরে-কিন্তু কিছু বলছে না। মুখ ফুটে । নিজে থেকেই বলবে ভেবে চুপ করে আছি, কিন্তু এবার শুধোতে হবে। রকম-সকম সুবিধে লাগছে না। মানে ? মানে একটু বেখাপ্পা চালচলন হয়েছে। বাইরে মুশকিলে পড়লে ব্যাটাছেলের যেমন হয়। দোকানে কিছু গোলমাল হয়েছে জানো ? তোমার কত্তা কিছু বলেছে ? সাধনার মনে একটা প্রশ্ন ঝিলিক মেরে যায়-তাই কি তবে কারণ রাখালের মদ খাওয়ার ? বাইরে কোনো মুশকিলে পড়েছে-কারবারে কাজেকর্মে গন্ডগোল ঘটেছে ? তার জন্য নয় ! কিছু তো বলেনি আমায়। রাজীববাবুর কী বেখাপ্পা চালচলন হয়েছে ? মন মেজাজ ভালো থাকছে না। ভাসাভাসা জবাব দিয়ে বাসন্তী যেন কথাটা চাপা দিয়ে দেয়। নেশা করে রাখাল মরার মতো ঘুমায়। রাজীবের ধাত অন্যরকম, তার জাগে ফুর্তির ঝোক । তার ফুর্তির ঠেলা সামলাতে হয় বাসন্তীকে-হাসিমুখে। নেশার খেয়াল সব স্বীকার করে নিতে হয়। নইলে যে কোনো লাভ নেই বাসস্ত্রী তা জানে। রাগারগি করলে নেশার বেঁটাক ব্যাহত হলে, মদ গিলে রাজীব আর বাড়ি আসবে না-একজনের ঘরে গিয়ে উঠবে যেখানে পয়সা দিয়ে অবাধে ফুর্তি করা যায় ! ও সব বন্দ খেয়াল রাজীবের কোনোদিন নেই। কিন্তু নেশা করলে কতগুলি পাগলামি তার আসবেই। ঘরে তাকে নিয়ে পাগলামি করতে পেলেই তার চলে। সে সুযোগ না দিয়ে তাকে নেশা করে বাজারের মেয়েলোকের ঘরে যেতে বাধ্য করার মতো বোকা বাসষ্ঠী নয়। কিন্তু বাড়াবাড়ি হলে তো একটা বোঝাপড়া চাই। চুপ করে থাকলে চলবে কেন ? বাসন্তী বলে, তোমার মুখে রোজ গন্ধ পাচ্ছি। এত বাড়ােচ্ছ কেন ? রোজ তুমি মাতাল হয়ে এসে দাপট চালাবে-আমার শরীরটা কি লোহা দিয়ে গড় ?