পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র সপ্তম খণ্ড.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YSዕb”b” মানিক রচনাসমগ্ৰ এ পাড়ার বস্তির পোড়া ঘরগুলি তেমনি পড়ে আছে, আধাপোড়া বঁশ আর দরজার কাঠ কিছু সাফ হয়েছে হাতে-হাতে। বুড়ি নানির মরণ থেকে যে হাঙ্গামার শুরু তার ধাক্কায় এ ছোটাে বস্তির মানুষগুলি কাছের বড়ো বস্তিতে চলে গিয়েছিল, ক্ৰমে ক্ৰমে তাদের দু-চারজনের চেনামুখ এ পাড়ার *थG {थीं । উষার নিরীহ গোবেচারি স্বামী ক্ষীণকণ্ঠে বাড়ি ফিরে যাবার কথা বলে। নিজেদের বাড়ি, কত খরচ করে কত কষ্টে তৈরি করা বাড়ি । বলে, বাঁচলাম। এবার নিজের বাড়ি ফেরা যাবে। আমি তো ভেবেছিলাম, বাড়িটা আমার জন্মের মতো গেল । উষা বলে, না বাবা, আমার কােজ নেই নিজের বাড়িতে গিয়ে। ও বাড়ি তুমি বেচে দাও। এখানে, মানে কলকাতায় আর ভয় কি আছে ? কলকাতা তো হিন্দুস্থানে হল ? ও সব বুঝিনে আমি । আমি যাব না। উষার একটা অন্ধ বিদ্বেষ আর আতঙ্ক জন্মে গেছে সাধারণ অনির্দিষ্ট একদল মানুষের বিরুদ্ধে, যারা তার কাছে মুসলমান। উঠতে বসতে সে মুসলমানদের গাল দেয়। রক্তমাংসের জীবস্তু মুসলমান দেখে কিন্তু সে এতটুকু ঘূণা, রাগ বা ভয় অনুভব করে না। কাল্প, কাসেমরা প্রণবদের কাছে আসাযাওয়া করে, দরকার হলে উষাই দরজা খুলে তাদের ছাদে নিয়ে যায়, চা খেতে দেয়-কথাবার্তা শোনে । মনসুর আর রাশোনার সঙ্গে তার গলায় গলায় ভাব হয়েছে। ওরা ধৈর্য ধরে তার একঘেযে সুখ-দুঃখের কাহিনি শোনে বলে, বাড়ির লোকের চেয়ে ওদের কাছে নিজের কথা বলতে সে বেশি ভালোবাসে। বলতে বলতে মুসলমানদের গাল দিয়েও বসে ! মনসুর মাথা হেলিয়ে সায় দেয়। রশোনা মৃদু হেসে বলে, আমরাও কিন্তু মুসলমান ! উষা তাড়াতাড়ি বলে, না না, ছি! আপনাদের কিছু বলিনি। } মনসুর বলে, সেটা না বলতেই বুঝেছি। কাদের বলছেন ঠিক জানেন না, তারা শুধু মুসলমান। মুসলমান হয়েও তারা যে বহুকাল ধরে সাধারণ গরিব মুসলমানের ঘাড় ভাঙছে, মুসলমানেরাই সবে সেটা টের পেতে আরম্ভ করেছে, আপনার দোষ কী!! উষা বলে, ঠিক মুসলমানদের উপর নয়। কী জানেন, আমার রাগটা হল গিয়ে— সে কথা খুঁজে পায় না। রশোেনা বলে, আপনার কথা বুঝেছি ভাই। কেবল নিজের সুখ-দুঃখের কথা বলতে বলতেই নয়, ছাদে নানা সমস্যা নিয়ে সকলের আলোচনা শুনতে শুনতেও গরম হয়ে উষা গাল দিয়ে বসে, মনসুর রাশোনা কালু কাসেমদের সামনেই। প্ৰণব গোকুলদের খোঁচা দিয়ে অবজ্ঞার সঙ্গে উষা বলে, তোমরা বিপ্লবী না হাতি । ওদের জিততে দিলে, তোমরা আর কথা বলে না। প্রণব বলে, কাদের জিততে দিলাম ? কাদের আবার, যাদের জন্য আমার আজ এই দশা ! নিজের ঘরবাড়ি থাকতে চোরের মতো এখানে পালিয়ে রয়েছি। বলতে বলতে গরম হয়ে উষা অভিশাপ দেয় ! তার গোবেচারি স্বামী বিব্রত হয়ে বলে, আহা, চুপ করো না । মনসুর নির্বিকার হয়ে থাকে, রাশোনার মুখখানা একটু স্নান দেখায়। প্ৰণব সোজাসুজি বলে, এরাও মুসলমান কিন্তু উষা। टियां उाgाठलि। बदल, ना ना, छेि छि । ७लत किछु बनिमि ।