পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র সপ্তম খণ্ড.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 SR মানিক রচনাসমগ্ৰ মানসী ব্যাকুল হয়ে বলে, না না, ছি। তা বলিনি আমি। তোমার শরীরটা বোধ হয় ভালো নয়। নিজের অজান্তে মানুষের কত রকমের অসুখ হয়, শরীরে কত রকমের কী হয়, তুমি জানো না। আমি ডাক্তারের মেয়ে, আমি জানি। দেখাতে তো কোনো দোষ নেই। আমি আশ্চর্য হয়ে তার মুখের দিকে চেয়ে থাকি। প্ৰাণপণে চাপাবার চেষ্টা করছে কিন্তু মুখে খেলে যাচ্ছে গভীর দুশ্চিস্তা ও ভয়ের ছায়া। একটা সিগারেট ধরাই। সেটাই শেষ সিগারেট, আর ছিল ना। किमबॉद्ध अंशभN3 छेिल नीं। সত্য কথা বলতে কী, মানসী গাড়িতে আমায় বাড়ি পৌঁছে না দিলে ট্রামবাসের পয়সা কারও কাছ থেকে ধার করতে হত। তুমি শেষ পর্যন্ত বুঝে নিলে আমার যা হয়েছে সেটা অসুখ ? ডাক্তারি চিকিৎসায় ধরাও পড়বে, সেরেও যাবে ? রাগ কোরো না। ও সব কোনো কথাই আমি ভাবছি না। আমার মনে হয়েছে তোমার শরীরটা ভালো নয়। সত্যি বড়ো ভাবনা হচ্ছে আমার। ঠোট কামড়ে সেই ঠোটেই আবার হাসি ফুটিয়ে মানসী বলে, বেশ তো, তোমার কিছু হয়নি, তুমি সুস্থ আছ। সুস্থ মানুষ মাঝে মধ্যে নিজেকে ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করালে দোষ আছে কিছু ? আমার কথাটা রাখবার জন্যই নয় একবার দেখালে আমার বাবাকে। বেশ, তোমার কথা রাখব। মানসী খুশিতে সোজা হয়ে বলে, কাল সকালেই এসো না ? চা খাবে। আব--- DBD DBBDDD KBLS মানসী মুষড়ে যায়। বলি, কেন, তোমার কথা তো আমি উড়িয়ে দিলাম না ? এটা যদি অসুখের জন্যই হয়ে থাকে-অসুখটা আরেকটু প্রকট হােক। আমিও বিজ্ঞানের ছাত্র, টাইসের প্রাকটিস অব মেডিসিন আগাগোড়া একবার তো পড়েছি। গোড়ায় না টের পাক, রোগ হলে রোগী শেষ পর্যন্ত জানবেই। আমার অসুখটা একটু বাডুক-তারপর চিকিৎসা করতে যাব। এতে তোমার আপত্তির কী আছে ? মানসী খোঁপা থেকে একটা সরু তারের কঁাটা খুলে সেটা টেনে লম্বা করে আঙুলে প্যাচাতে প্যাচাতে বলে, কে যে তোমায় কী দিয়ে গড়েছিল তাই ভাবি ! মানসীও অদৃষ্ট মানে ! দরজার একপাট খোলা, একপাট ভেজানো। তারই আড়ালে ভদ্রতা রক্ষা করে বউদির সঙ্গে দাঁড়িয়ে তৃপ্তি বলে, দু-চারমিনিটের কথা ছিল। বলেই চলে যেতম। (XSTSt:5 st; } বউদিও আসেন। প্রথমে আমার এবং তারপর মানসী আর তৃপ্তির মুখে একবার নজর বুলিয়ে (कन् । বলেন, সন্ধ্যা থেকে ধন্না দিয়ে বসে আছে। তোমার সঙ্গে নাকি জরুরি দরকার। তৃপ্তিকে জিজ্ঞেস করলেম, কবির সঙ্গে তোমার কীসের এমন জরুরি দরকার ? বউদির কাছে জবাব পেলাম, কাল সকালেই হারাণবাবুর বাড়ি টিউশনি না নিলে কাজটা ফসকে যাবে। তৃপ্তি হেসে বলে, তুমিই তো সব বলে দিলে বউদি ! বউদ্দি বলে, তা হলে দেখলে তো আমিই সব বলতে পারতাম ? তোমার এত রাত পর্যন্ত ধান্না দিয়ে থাকার কোনো দরকার ছিল না ? এইবার তোমরা আসল কথা বলাবলি করো, আমি যাই ।