পাতা:মানিনী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
দারােগার দপ্তর, ১৬১ সংখ্যা।

ইয়া সমাগত ব্যক্তিগণের আনন্দ উৎপাদন করিতেছে। যাঁহারা গাড়ী করিয়া সন্ধ্যার সময় বায়ুসেবনে বহির্গত হইয়াছিলেন তাঁহাদিগের গাড়ী সমূহ উদ্যানে পশ্চিম পার্শ্বে সমবেত হইয়াছে। তাঁহারা গাড়ীর ভিতর উপবেশন করিয়াই মনোহর বাদ্য শ্রবণ করিতেছেন!

 কিয়ৎক্ষণ উদ্যানের ভিতর ভ্রমণ করিবার পর আর তাহা বিপিনের ভাল লাগিল না, তিনি উদ্যানের পশ্চিম দ্বার দিয়া বহির্গত হইয়া যে স্থানে গাড়ী সকল দণ্ডায়মান ছিল, সেই স্থান দিয়া গমন করিতে লাগিলেন। কিয়দ্দূর গমন করিবার পর একখানি দ্বিতীয় শ্রেণীর গাড়ীর প্রতি তাহার নয়ন আকৃষ্ট হইল। তাঁহার বেশ বোধ হইল যে, সেই গাড়ীর ভিতর প্রাণের শিক্ষিতা মানিনী, এবং পরম বন্ধু ডাক্তার বাবু বসিয়া আছেন। এই ব্যাপার দেখিয়া তাঁহার মনের গতি যে কি হইল, তাহা পাঠকগণ সহজে অনুমান করিয়া লউন। বিপিন আস্তে আস্তে গাড়ীর নিকট গমন করিলেন। তাঁহাকে দেখিবামাত্রই ডাক্তারবাবু বিশেষরূপ লজ্জিত হইলেন ও কহিলেন, “কে, বিপিন! তুমি কোথা হইতে এখানে আগমন করিলে? তোমার সহিত সাক্ষাৎ হইবার পর হইতেই আমি সমধিক যত্ন ও পরিশ্রম করিয়া মানিনীর অনুসন্ধান করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছিলাম; কিন্তু এতদিবস কোনরূপে ইহাঁর কোনরূপ সন্ধান পাই নাই। আজ আমি একজন যোগীকে দেখিবার নিমিত্ত গমন করিয়াছিলাম। সেইস্থান হইতে প্রত্যাগমন করিবার সময় পথিমধ্যে মানিনীর সহিত সাক্ষাৎ হইল। এতদিবস পর্য্যন্ত ইনি কোথায় ছিলেন, জানিবার নিমিত্ত আমার মনে বিশেষরূপ কৌতূহল জন্মিল। আমি ইহাঁর