পাতা:মানিনী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মানিনী।

চেষ্টা করিতেছেন। ইহা যদি প্রকৃতই হয়, তাহা হইলে আপনি দাদাকে কহিবেন যে, এখন আমার বিবাহ করিবার ইচ্ছা নাই। বি-এ পাস করিয়া কোনরূপে একটী চাকরীর যোগাড় করিয়া লইতে পারিলে তাহার পর বিবাহ করিব। এখন বিবাহের গোলযোগে আমার পড়া শুনার সবিশেষ ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা। অথচ দেখিতে পাইতেছি, আমাদিগের অবস্থাও ভাল নহে।”

 বিপিন রাজকিশোরীকে যেমন বুঝাইলেন, রাজকিশোরীও সেইরূপ বুঝিয়া সময়-মত স্বামীর নিকট বিপিনের মনের ভাব ব্যক্ত করিলেন। রজনীকান্ত স্ত্রীর নিকট সমস্ত ব্যাপার অবগত হইয়া কহিলেন, “আচ্ছা, তাহাই হইবে। বিপিন যে সময়ে বিবাহ করিতে চাহিবে, সেই সময়েই তাহার বিবাহ দিব। বিপিন এখন লেখাপড়া শিখিয়াছে, নিজের ভাল মন্দ সে এখন নিজেই বুঝিতে সমর্থ হইয়াছে। সুতরাং তাহার অনভিপ্রায়ে কোনরূপ কার্য্য করা কোনমতেই যুক্তিসঙ্গত নহে।”

 রজনীকান্ত আপন স্ত্রীকে যাহা যাহা কহিলেন, স্ত্রীও তাহাই ভাল বিবেচনা করিয়া সময়মত স্বামীর সেই কথা বিপিনকে জানাইলেন। রাজকিশোরীর কথা শুনিয়া বিপিন সবিশেষ সন্তুষ্ট হইল।

 বিপিন যখন বি-এ ক্লাসে অধ্যয়ন করেন, সেই সময়ে রজনীকান্ত মনে করিয়াছিলেন যে, বিপিনের লেখাপড়ার ব্যয়ের সংস্থান করা ভিন্ন তাহার দিকে দৃষ্টি রাখিবার আর প্রয়োজন নাই। কারণ, যখন সে লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে