পাতা:মানিনী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারােগার দপ্তর, ১৬১ সংখ্যা।

দিগের কোনরূপ আপত্তি বা প্রতিবন্ধক নাই; যেহেতু তাঁহারা শিক্ষিতা ও জ্ঞানালোকিতা।

 বিপিন যে এইরূপ ভাবে দেশহিতৈষিতার ভান করিয়া সমাজে সমাজে বেড়াইতে লাগিলেন, দেশহিতৈষিণীদিগের সহিত মিলিতে লাগিলেন, তাহা কিন্তু রজনীকান্ত বা রাজকিশোরী কিছুমাত্র জানিতে পারিলেন না।

 এইরূপে কিছুদিবস অতিবাহিত ইয়া গেল। বিপিনের পরীক্ষার সময় আসিয়া উপস্থিত হইল। বিপিন ইতিপূর্ব্বে সকল পরীক্ষায় ভালরূপে উত্তীর্ণ হইয়া আসিয়াছিলেন। এবার কিন্তু কোনরূপে পাস হইলেন মাত্র।

 রজনীকান্তের যাহা কিছু সংস্থান ছিল, বিপিনকে বিদ্যা শিক্ষা করাইবার নিমিত্ত ক্রমে ক্রমে সমস্তই ব্যয় করিয়া ফেলিয়াছিলেন। তিনি যে সামান্য বেতনে কর্ম্ম করিতেন, তাহা দ্বারা কোনরূপে আপনাদিগের গ্রাসাচ্ছাদন নির্ব্বাহ হইত মাত্র; তাহা হইতে অতিরিক্ত ব্যয় একটীমাত্র পয়সাও হইবার সম্ভাবনা ছিল না। সুতরাং বিপিনের লেখাপড়া শিখাইতে রজনীকান্ত আর সমর্থ হইলেন না। রজনীকান্তের ইচ্ছা ছিল যে, যদি কোন স্থান হইতে কিছু টাকা তিনি কর্জ্জ লইতে পারেন, তাহা হইলে সেই টাকা ব্যয় করিয়া বিপিন যাহাতে আরও কিছু লেখাপড়া শিখিতে সমর্থ হয়, তাহার চেষ্টা করেন। পরিশেষে চাকরী হইলে বিপিন নিজের দেনা নিজেই পরিশোধ করিয়া দিবে। রজনীকান্ত মনে যাহা ভাবিলেন, কার্য্যে তাহা ঘটিল না। কোন স্থান হইতে আর কোন অর্থ সংগ্রহ করিতে সমর্থ