পাতা:মানুষের ধর্ম্ম - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
১১১

প্রকাশ করেচে কোনো রকমে, পরিস্ফুট হয়নি। সে সময়ে আভাসে যা অনুভব করেচি, তাই লিখেচি। আমি যে যা-খুসি গেয়েচি, তা নয়। এ গান দু-দণ্ডের নয়, এর অবসান নেই। এর একটা ধারাবাহিকতা আছে, এর অনুবৃত্তি আছে মানুষের হৃদয়ে হৃদয়ে। আমার গানের সঙ্গে সকল মানুষের যোগ আছে। গান থামলেও সে যোগ ছিন্ন হয় না।

“কাল গান ফুরাইবে, তা ব’লে গাবে না কেন,
আজ যবে হয়েচে প্রভাত।”

“কিসের হরষ-কোলাহল,
শুধাই তোদের, তোরা বল!
আনন্দ-মাঝারে সব উঠিতেছে ভেসে ভেসে,
আনন্দে হ’তেছে কভু লীন,
চাহিয়া ধরণী পানে নব আনন্দের গানে
মনে পড়ে আর একদিন।”

 এই যে বিরাট আনন্দের মধ্যে সব তরঙ্গিত হচ্চে, তা দেখিনি বহুদিন, সেদিন দেখলুম। মানুষের বিচিত্র সম্বন্ধের মধ্যে একটি আনন্দের রস আছে। সকলের মধ্যে এই যে আনন্দের রস, তাকে নিয়ে মহারসের প্রকাশ। “রসো বৈ সঃ।” রসের খণ্ড খণ্ড প্রকাশের