পাতা:মানুষের ধর্ম্ম - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মানুষের ধর্ম্ম
১৩

অন্তরঙ্গযোগের, তার পুরস্কার আপনারই মধ্যে। কারণ সেই যোগের প্রসারেই আত্মার সত্য।

ন বা অরে পুত্রস্য কামায় পুত্রঃ প্রিয়োভবতি, আত্মনস্তু কামায় পুত্রঃ প্রিয়োভবতি।

জীবলোকে চৈতন্যের নীহারিকা অস্পষ্ট আলোকে ব্যাপ্ত। সেই নীহারিকা মানুষের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয়ে উজ্জ্বল দীপ্তিতে বললে,

অয়মহং ভোঃ,

এই যে আমি। সেইদিন থেকে মানুষের ইতিহাসে নানাভাবে নানারূপে নানাভাষায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া চলল, “আমি কী।” ঠিক উত্তরটিতে তার আনন্দ, তার গৌরব। জন্তুর উত্তর পাওয়া যায় তার দৈহিক ব্যবস্থার যথাযোগ্যতায়। সনাতন গণ্ডারের মতো স্থূল ব্যবহারে গণ্ডার যদি কোনো বাহ্য বাধা না পায় তাহলে আপন সার্থক্য সম্বন্ধে তার কোনো সংশয় থাকে না। কিন্তু মানুষ কী করে হবে মানুষের মতো তাই নিয়ে বর্ব্বরদশা থেকে সভ্য অবস্থা পর্য্যন্ত তার চিন্তা ও প্রয়াসের অন্ত নেই। সে বুঝেচে সে সহজ নয়, তার মধ্যে একটা রহস্য আছে, এই রহস্যের আবরণ উদ্ঘাটিত হতে হতে