বিশ্বের দিকে নিয়ে যায়। না নিয়ে গেলে সেটা রাজপ্রাসাদের পক্ষেও দীনতা। এই আতিথ্যের মধ্যে আছে সোঽহংতত্ত্ব—অর্থাৎ আমি তাঁর সঙ্গে এক যিনি আমার চেয়ে বড়ো। আমি তাঁর সঙ্গে মিলে আছি যিনি আমার এবং আমার অতিরিক্ত।
আমাদের দেশে এমন সকল সন্ন্যাসী আছেন, যাঁরা সোঽহংতত্ত্বকে নিজের জীবনে অনুবাদ করে নেন নিরতিশয় নৈষ্কর্ম্ম্যে ও নির্ম্মমতায়। তাঁরা দেহকে পীড়ন করেন জীবপ্রকৃতিকে লঙ্ঘন করবার জন্যে, মানুষের স্বাধীন দায়িত্বও ত্যাগ করেন মানবপ্রকৃতিকে অস্বীকার করবার স্পর্দ্ধায়। তাঁরা অহংকে বর্জ্জন করেন যে-অহং বিষয়ে আসক্ত, আত্মাকেও অমান্য করেন যে-আত্মা সকল আত্মার সঙ্গে যোগে যুক্ত। তাঁরা যাঁকে ভূমা বলেন তিনি উপনিষদে উক্ত সেই ঈশ নন যিনি সকলকেই নিয়ে আছেন, তাঁদের ভূমা সবকিছু হতে বর্জ্জিত সুতরাং তাঁর মধ্যে কর্ম্মতত্ত্ব নেই। তাঁরা মানেন না তাঁকে, যিনি
পৌরুষং নৃষু
মানুষের মধ্যে যিনি মনুষ্যত্ব, যিনি বিশ্বকর্ম্মা মহাত্মা, যাঁর কর্ম্ম খণ্ডকর্ম্ম নয়, যাঁর কর্ম্ম বিশ্বকর্ম্ম; যাঁর
স্বাভাবিকী জ্ঞানবলক্রিয়া চ