পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৭
মায়াবাঁশী

 “তবে কত চাও?”

 “শোন ঠাকরুণ রাজার রাজত্ব পেলেও এ খরগোষ আমি বেচবো না। তবে তুমি যদি চাও তবে দিতে পারি। কিন্তু—”

 “কিন্তু আবার কি?”

 “আমার পাশে আধঘণ্টা ব’সে গল্প করতে হবে।”

 রাজকন্যার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে উঠল। রাখালের পাশে মাটীতে ব’সে, আবার তারই সঙ্গে গল্প করতে হবে। উপায় কি! আধঘণ্টা একসঙ্গে ব’সে গল্প করলেই যদি একটা খরগোষ পাওয়া যায়, তাও ভাল। নৈলে সারাজীবন এই রাখাল ছোঁড়াটার সঙ্গে একত্র বাস করতে হবে যে। ভেবে রাজকন্যা বললেন, “আচ্ছা তোমার কথাতেই রাজী।” এই ব’লে রাখালের পাশে এসে বসলেন। আধঘণ্টা গল্প-গুজবের পর রাখাল রাজকন্যার হাতে একটা খরগোষ তুলে দিল। রাজকন্যার বড় অপমান বোধ হ’ল। কিন্তু কি করবেন? উপায় নেই। খরগোষটি তুলে নিয়ে ঝুলিতে পুরে রাজবাড়ীর দিকে চললেন। খানিকটা দূর যেতেই রাখাল দিল বাঁশীতে ফুঁ। অমনি রাজকন্যার ঝুলি ছিঁড়ে খরগোষ রাখালের কোলের উপর এসে হাজির। রাজকন্যা মাথা হেঁট ক’রে ধীরে ধীরে চ’লে গেলেন।

 এদিকে আবার রাজা চর পাঠিয়ে খবর নিলেন। চর