পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১১
মায়াবাঁশী

 তারপর ভাবল, দেখি এবার বুড়ীর বাঁশী কি করে। এই ভেবে রাখাল বাঁশীতে ফুঁ দিল। আওয়াজ থামতে না থামতেই এক ঝাঁকে প্রায় লাখ খানেক চড়ুই এসে ধান আর চাল আলাদা করা সুরু ক’রে দিল। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই রাজার গোলার এক ধারে চাল, আর এক ধারে ধানের পাহাড় হ’য়ে গেল। রাখাল তখন নিশ্চিন্ত হ’য়ে মনের আনন্দে ঘুমিয়ে পড়ল।

 পরদিন ভোর না হ’তেই রাজা মন্ত্রী পারিষদ সঙ্গে ক’রে গোলায় এলেন। এসে রাখালের কাণ্ড দেখেই তো চক্ষু স্থির!

 ছোঁড়াটা কি যাদু জানে? গণ্ডগোলে রাখালের ঘুম ভাঙ্গলো।

 হাসিমুখে রাখাল রাজাকে বললে, “মহারাজ, তিন নম্বরের হুকুমটা এইবার ক’রে ফেলুন।”

 “সন্ধ্যাকালে মন্ত্রীর কাছে জানতে পারবে” বলে মুখ হাঁড়ির মত ক’রে রাজা অন্দরে গেলেন রাণী আর রাজকন্যার সঙ্গে পরামর্শ করতে।

 সন্ধ্যার সময় মন্ত্রী এসে রাজার হুকুম জানালেন। “ওহে ছোকরা, বার বার এইবার। এতে যদি উৎরে যাও, তাহ’লে রাজকন্যা পাবে। রাজার ভাণ্ডার দেখেছ? খাবার জিনিষে