পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মায়াবাঁশী
১২

ভাঁড়ার বোঝাই হ’য়ে আছে। আজ রাত্রের মধ্যে খেয়ে ভাড়ার খালি ক’রে দিতে হবে, বুঝলে?”

 “কি খাবার আছে, মন্ত্রী মশাই?”

 “হরেক রকম! এই ধর, প্রথম নম্বর সন্দেশ পাঁচমণ, দু নম্বর রসগোল্লা পাঁচমণ, সরপুরিয়া সাড়ে তিন মণ, ক্ষীর—”

 “থামুন, মন্ত্রী মশাই, থামুন। আমার মুখে জল আসছে কিন্তু একাই খেতে হবে, না লোকজন নিমন্ত্রণ করা চলবে?”

 “না হে, একা। এখনও বোঝ, সাহস যদি না থাকে ফিরে যাও। যদি ফিরে যাও, রাজা তোমাকে বকশিস দেবেন।”

 “না মশাই, এগিয়েছি যখন এতদূর তখন আর ফেরা হচ্ছে না। যা থাকে কপালে; না হয় খেয়েই মরব।”

 “দেখো বাবা, তোমার ভাল-মন্দ তোমার কাছে।”

 মন্ত্রী ফিরে এলে রাজা জিজ্ঞেস করলেন, “কিহে? এবার রাখাল বেটা বলে কি?”

 “এবার যেন একটু ভয় পেয়েছে ব’লে বোধ হ’ল। দেখা যাক।”

 দুপুর রাতে ভাঁড়ারে ঢুকেই রাখালের প্রাণ আনন্দে নেচে উঠল। এসব খাবার সে জন্মেও চোখে দেখেনি। একবার