রাজা হাসতে লাগলেন। মন্ত্রীরা সবাই হাসতে লাগল। দোতলার জানালা থেকে রাজকন্যা হাসতে লাগলেন।
তাঁর সখীরা সব বিদ্রূপ আরম্ভ করলে। রাখাল রেগে যা ইচ্ছা তাই বলতে লাগল, কিন্তু তাতেও ঝুলি ভরে না।
আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকী আছে? হঠাৎ রাখালের মাথায় এক বুদ্ধি জাগল, বললে, “সবাই শুনুন মশাই, এই যে রাজকন্যা দেখছেন—উনি একদিন চাষার মেয়ে সেজে আমার কাছে খরগোষ নিতে এসেছিলেন। দামের বদলে আমার গালে দশটা চুমো দিয়ে গেছেন।”
“ছিঃ ছিঃ কি লজ্জার কথা”!
রাজকন্যা চেঁচিয়ে বলে উঠলেন।
“এতে আর বেশী লজ্জা কি রাজকন্যা?” রাখাল বল্লে—“আপনার বাবার কীর্ত্তি যদি শুনতেন!”
রাজা তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, “ওহে ছোকরা, থাক! থাক!!” “থাকবে কি মহারাজ? শুনুন সবাই—আপনাদের এই রাজা আমার প্রথম পরীক্ষার দিন এক চাষা সেজে আমার কাছ থেকে একটা খরগোষ নেন। তার দাম দিয়েছিলেন তাঁর গাধার লেজে তিনবার—”
রাজার মুখ চূণ হ’য়ে গেল—সর্ব্বনাশ বলে কি!”
“তিনবার—শুনুন মন্ত্রীমশাই।”