পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NR মায়াবী । বাধ্য, অল্পদিনের মধ্যেই তিনি আমার পিতার খুব স্নেহভাজন হইয়া উঠিলেন। পিতা আপনার পুত্রের ন্যায় তাহাকে স্নেহ করিতেন। তিনি সিরাজউদ্দীনের ভরণপোষণের জন্য, বিদ্যা শিক্ষার জন্য কিছুতেই এ পৰ্য্যন্ত তাহার পৈতৃক সম্পত্তি হইতে এক কপর্দক লাইতেন নানিজের ব্যয়ে সকলই নিৰ্ব্বাহ করিতেন। সিরাজ-উদ্দীন ইদানীং কলিকাতায় একজন বিখ্যাত চিত্রকর সাহেবের ‘নিকট চিত্রবিদ্যা শিক্ষা করিতেন, সে জন্য বেতন ও বাসা খরচ ইত্যাদিতে প্ৰায় মাসে পঞ্চাশ টাকা লাগিতা। তাহাও আমার পিতা তঁহাকে দিতেন । সিরাজউদ্দীন এখন কলিকাতায় থাকিতেন, মধ্যে মধ্যে এখানে আসিতেন, তিন চারিদিন থাকিয়া আবার চলিয়া যাইতেন। ফুলসাহেব হইতেই যে আমাদিগের সংসার ক্ৰমে ধ্বংসের দিকে যাইতেছিল, তাহাও তিনি বুঝিতে পারিয়াছিলেন, সে জন্য তিনি বাবাকে কতবার বুঝাইয়া ছিলেন ; মায়াবী ফুলসাহেবের মােহমন্ত্রে বাবা এমনই মুগ্ধ হইয়া গিয়াছিলেন, কিছুতেই ফুলসাহেবের উপর তিলমাত্ৰ সন্দেহ করিতে পারিলেন না । তথাপি সিরাজউদ্দীন যখনই এখানে আসিতেন, বাবাকে ফুলসাহে বর জন্য অনেক বুঝাইতেন।” অরি। এই এইমাত্র কারণেই কি ফুলসাহেব তাঁহাকে বন্দী করিয়া রাখিয়াছে, না তাহার। আর কোন উদ্দেশ্য আছে ? “আরও একটা উদ্দেশ্য আছে, সেইটিই বােধ হয় প্রধান।” বলিয়া কুলসম একটু লজ্জিতভাবে নতমুখী হইল। আরি। কি ? ১ কুলসম উত্তর করিল না। সেইরূপ অবনত মস্তকে চুপ করিয়া, ব্রহিল। অরিন্দম বলিলেন, “লজ্জা করিয়া আমার কাছে কোন কথা অপ্ৰকাশ রাখিয়ে না ।”