পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R মায়াৰী । একখানি শাণিত, দীর্ঘ ছুরি বাহির করিয়া অরিন্দমের বুকে বিদ্ধ করি রার জন্য উদ্ধে তুলিল। বাতায়ন প্রবিষ্ট সূৰ্য্যরশ্মি লাগিয়া ছুরিখানা ঝাক মক্‌ করিয়া উঠিল। যোগেন্দ্ৰনাথ পশ্চাদিক হইতে দুই হাতে ফুল সাহেবের সেই হাতখানি ঘুরাইয়া ধরিয়া ফেলিলেন। অরিন্দম উঠিয়া তাহার অপর হাত দুই হাতে চাপিয়া ধরিলেন, এবং দারোগাও তদুভয়ের সাধ্যমত সাহায্য করিতে আরম্ভ করিল। চারি জনে তখন সেই ঘরের ভিতর একটা ধস্তাধস্তি চলিতে লাগিল। ফুলসাহেব এত বলবান যে, অরিন্দম, যোগেন্দ্ৰনাথ আর দারোগা তিন জনে মিলিয়াও শীঘ্ৰ তাহাকে বন্দী করিতে পারিলেন না। সেই ঘরের ভিতর একটা তুমুল কাণ্ড উপস্থিত হইল-ফুল সাহেব সহজ নহে, প্ৰায় অৰ্দ্ধ ঘণ্টার পরে সেই তিন জন পুলিস-কৰ্ম্মচারীর একান্ত জেদ্দাজেদি ও আগ্ৰস্থাধিক্যে অতি পরিশ্রমের পর ফুলসাহেবের হাতে তিন যোড়া হাতকড়ি দৃঢ় সংলগ্ন श्रुशेठ । ফুলসাহেব ধরা পড়িল । তার পর গোরাচাদের অনুসন্ধান করা হইল-তাহাকে পাওয়া গেল না। সে বাহিরের গোলযোগ শুনিয়া ইতোমধ্যে ভিতর বাটীর একটা জানালা ভাঙ্গিয়া, নিজের পলায়নের পথ পরিষ্কার করিয়া লইয়াছিল। ও এ অরিন্দম উপহাসের মৃদুহাস্তে ফুলসাহেবকে বলিলেন, “কেমন গো ডাক্তার বাবু, এখন বুঝিতে পারিতেছেন যে, অরিন্দম মরে নাই-ঠিক আগেকার মত বাচিয়া আছে ?” অরিন্দমের কথা শুনিয়া ফুলসাহেবের মুখে একবার সেই চিরাভ্যস্থ অপূৰ্ব্বভঙ্গীতে-এক-অপূৰ্বরহস্যপ্ৰাপ্ত অমঙ্গলের মৃদু হামি দেখা দিলা । সদৰ্পে সেই হাঁসির সহিত মিষ্টকণ্ঠে বলিল, “যতক্ষণ ফুলসাহেব বাঁচিয়া আছে, ততক্ষণ আরিদম না মরিলেও মরিতে বেশিক্ষণ নয় - ততক্ষণ