পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

P

  • ăm ܚܬܢܚܫ aistillahara in it.)

এখন সকল কয়েদীই যে যাহার ঘরে আবদ্ধ। সারাদিনের অস্থিভেদ উৎকট পরিশ্রমের পর তাহাদিগের এখনও যে কেহ জাগিয়া আছে, এমন বােধ হয় না; তথাপি প্রহরীরা আজ এত সাবধান কেন ? কেবল সেই শঠ-শিরোমণি ফুল সাহেবের জন্যই তাহারা ঝড় বৃষ্টি মাথায় করিয়া আজ এই দুৰ্য্যোগেও কৰ্ত্তব্যভ্ৰষ্ট হওয়া অনুচিত বোধে প্রাচীরের উপর সতর্কচিত্তে সত্বরপদে পরিক্রমণ করিতেছে। এমনু সময় জেলখানার ঘড়িতে একটা বাজিল। যে প্রহরী পূৰ্ব্ব দিককার প্রাচীরের উপর পরিক্রমণ করিতেছিল, সে অভ্রভেদী কণ্ঠেহাকিল, “জুড়ীদার ভেইয়া হে।” প্ৰতিধ্বনির ক্ষীয় সেই সঙ্গেই বহুদূরে অপর দিক হইতে পরবর্তী প্রহরী তীব্রতরকণ্ঠে হাকিল, “জুড়ীদার ভেইয়া হাে ।” তাহার পর এক দিক হইতে অপর একদিকে—এইরূপ চারিদিকে “জুড়ীদার ভেইয়া হো” শব্দে বহুদূর পর্য্যন্ত সেই মেঘকৃষ্ণ নৈশগগন পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। শুনিয়া ফুলসাহেব একবার হাসিল। হাসিয়া বলিল, “জুমেলা, আমি ঠিক সময়েই আসিয়াছি। এখন গোরাচাঁদ যদি নিজের কৰ্ত্তব্য না ভুলিয়া থাকে, তাহা হইলে শীঘ্রই আমরা মুক্ত হইব। কাল হইতে অরিন্দম পলাতক কয়েদীর অনুসন্ধানে ফিরিবে।” শেষের দুই ঐকটি কথা মন্বৌষধিরুদ্ধবীৰ্য্যসৰ্পগর্জনবৎ ফুলসাহেবের মুখ হইতে বাহির । হুইল, তাহা কিছুতেই মনুষ্যের মুখনিঃস্বতের মত শুনাইল না। যদি সেই অন্ধকারের মধ্যে কোন রকমে ফুলসাহেবের মুখখানা তখন দেখা যাইত, তাহা হইলে পাঠক, দেখিতে পাইতেন, তখনও সেই দানবচেতার মুখে সেই অমঙ্গলজনক-বিভীষিকা ও মৃদুতার অপুৰ্ব্ব সংমিশ্রণে অপূৰ্ব্ব রহস্যপ্রাপ্ত, সম্পূর্ণ অশুভসূচক ভীতি প্ৰদ হাসি লাগিয়া ছিল ।