পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS 8 মায়াৰী । a রাখিয়া আর একটা অপূৰ্ব্ব শোভায় প্রদীপের ক্ষীণালোকপূর্ণ সেই গৃহটি এককালে প্রদ্যোতিত করিয়া তুলিল। সহনাতীত উৎকণ্ঠায় তাহার ললাটে স্বেদশ্ৰুতি এবং ঘনশ্বাসে তাহার অনাবৃত পীরবোন্নত বক্ষঃস্থল ঘনঘন পরিস্পন্দিত হইতে লাগিল। সেই উপেক্ষিত রমণী নিরুপেক্ষিত, ও অন্নপ্ৰতিভভাবে দেবেন্দ্রবিজয়ের মুখের উপর ‘তাহার দীপ্ত কৃষ্ণতার চোখ দুটির চঞ্চল দৃষ্টি স্থির রাখিয়া, স্মিতমুণে বলিল, “দেবেন্দ্রবিজয়, তুমি যতই আমাকে ঘৃণা কর না কেন, আমি তোমাকে সৰ্ব্বান্তঃকরণে ভালবাসি। কিন্তু, আশা করি নাই, আমার এই স্বার্থশূন্য ভালবাসা তোমার হাতে এইরূপ কঠোরভাবে পুরস্কৃত ও উপেক্ষিত হইবে।” দেবেন্দ্রবিজয় ক্ৰোধে অন্ধপ্রায় হইলেন। “কুলটা, তোমাকে স্পর্শ করিতেও পাপ আছে।” বলিয়া তিনি সেই রমণীকে দুই হাতে এরূপ সজোরে ধাক্কা দিলেন, সে এক রকম প্ৰহার করা; সুতরাং রমণী তাহা সামলাইতে পারিল না ; ঘরের কোণে গিয়া পড়িল এবং দেয়ালে মাথা ঠুকিয়া অত্যন্ত আঘাত পাইল। তখন সে লাঙ্গুলাবমূষ্ট সপিণীর ন্যায় গর্জন করিয়া উঠিল। তাহার প্রচুরায়ত রোষারক্তচক্ষুদুটি, উল্কাপিণ্ডবৎ অতি তীব্রভাবে জ্বলিয়া উঠিল এবং তন্মধ্য হইতে জ্বলন্ত বহ্নিশিখা বাহির হইতে লাগিল। সেই বিভীষিকাময়ী মুৰ্ত্তি দেখিয়া দেবেন্দ্রবিজয় স্তম্ভিত হইলেন, মুখে কথা সরিল না। রমণী তীব্ৰকণ্ঠে বলিল, নারকী, আপনার মৃত্যু আপনি ডাকিয়াছ, এ অপমানের প্রতিশোধ এইরূপেই হইবে।” বলিয়া তখনই পরিত্যক্ত দীর্ঘ শাণিত ছুরিখানা ভূপৃষ্ঠা হইতে উঠাইয়া লইল, এবং দেবেন্দ্রবিজয়ের বুকে তাহা আমূল বিদ্ধ করিবার জন্য সবেগে উৰ্দ্ধে উত্তোলন করিল। তৎক্ষণাৎ দেবেন্দ্ৰবিজয় छभूटरड তাহার হাত ধরিয়া ফেলিলেন, এবং ছুরিখানা কাড়িয়া লইয়া রমণীকে পুনরায় ঠেলিয়া ফেলিয়া দিলেন। a