পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R C भांग्रांयी । সংযোগ করিয়া, সেই অপমানের প্রতিশোধ করিতে অপমানকারীর মৃত্যুর পথ সহজ ও সরল করিয়া দিয়াছে, কিন্তু পরীক্ষণেই সে ধারণা দোরেন্দ্রবিজয়ের মন হইতে একেবারে তিরোহিত হইয়া গেল, কারণ ঘরে আগুণ লাগিলে সে ধূম এমন উত্তাপ শূন্য, কি, এমন একটা উগ্ৰ গন্ধযুক্ত হইত না। সে গন্ধ অত্যন্ত বিষাক্ত সন্দেহ নাই, নতুবা তাহার মস্তিষ্ক ও হৃদয়ে প্রবেশলাভ করিয়া শাণিত চুরিকার ন্যায় বিদ্ধ হইতে থাকিবে কেন ? দেবেন্দ্ৰবিজয় তখন বুঝিলেন, আর নিশ্চিন্ত হইয়া, চুপ করিয়া বসিয়া থাকিবার এ সময় নহে। তিনি উঠিয়া দ্বারের নিকট গেলেন, এবং উপযুপরি পদাঘাত করিয়া দ্বার ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য চেষ্টা করিলেন। চেষ্টা ব্যর্থ হইল । তিনি বাহির হইতে না পারেন, নাই—নাই; তখন সেই নিবিড়ােতর ধূমরাশির কতকটা বাহির হইয়া গেলে, তিনি তখনকার সেই শ্বাস-রাহিত্য অবস্থা হইতে, মুক্তিলাভ করিতে পরিবেন এবং ইহার পর অদৃষ্টে যাহা ঘটিবার তাহা ঘটবে মনে করিয়া তাড়াতাড়ি রুদ্ধ গবাক্ষগুলি উন্মোচন করিতে গেলেন, তাহাতেও তিনি ভগ্নীমনোরথ হইলেন ; সকলগুলিই বাহির হইতে বন্ধ ; এরূপ দৃঢ়ভাবে বন্ধ কিছুতেই খুলিল না। তখন তিনি একান্ত নিরাশ ও নিরুপায় হইয়া, ছুটিয়া গিয়া, দেহের সমস্ত শক্তি একত্ৰ করিয়া সেই রুদ্ধদ্বারে পদাঘাতের উপর পদাঘাত বর্ষণ করিতে লাগিলেন। ক্ষুদ্র গৃহ সেই পদাঘাতের শব্দে যেন ফাটিয়া পড়িবার মতন হইল ; তথাপি সেই কঠিন ক’বাট জোড়াটা কঠোর ও অবিচলিতভাবে দাড়াইয়া সেই দুঃসহ পদাঘাতগুলা অনায়াসে সহ করিয়া, পূর্ববৎ छिद्ध श्छे ब्रा ब्रश्लि। এমন সময় বাহির হইতে কে বলিল, “বৃথা চেষ্টা দেবেন্দ্র, বৃথা চেষ্টা ; স্ত্রীলোক উপেক্ষিত হইলে পিশাচী অপেক্ষাও ভয়ঙ্করী হয় ।