পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কতক বা কৌতুহল, কতক বা দয়া, কতক বা রোষ পরবশ হয়ে ডিটেক্‌টীভরা শরণাপল্পের যে সকল ভয়ানক ভয়ানক বিপদ নিজের মাথায় নিয়ে নিজের অসহায় প্ৰাণটাকে খুনেদের চুরির নীচে সচ্ছন্দে যেমন ছেড়ে দেয়, আর কে তেমন পারে বল দেখি ? তথাপি ঐ দেশের লোকেরা ডিটেক্টভদের সম্মান করে না—“তা তাদের দোষ নয়, আমাদেরই অদৃষ্ট্রের দোষ। নতুবা লণ্ডন, ফ্রান্স ও আমেরিকার ডিটেক্টীভরা যেরূপ সম্মানিত হয়ে থাকে, এবং আবালবৃদ্ধবনিতার এমন একটা শ্রদ্ধা আকর্ষণ করে যে, সেখানকার বিচারপতিদিগের আদৃষ্টেও তেমনটি ঘটে না ! যদিও আমার মুখে এ সকল কথাগুলা ভাল শোনায় না-সম্পূর্ণ আত্মশ্লাঘা প্ৰকাশ পায় ; কিন্তু যখন অবসরে এক একবার নিজেদের কথাগুলি ভাবি, তখন মনে যেমন দুঃখ হয়, তেমনি নিজেদের জীবনের প্রতি একটা ঘুণাও জন্মে। আমরা পরের জন্য দেহপাত ও প্ৰাণপাত করিতে প্ৰস্তুত, কিন্তু পরে সেটা স্বীকার করিতে সম্পূর্ণ অস্বীকৃত এবং একটু সম্মান দেখাইতে একেবারে অপ্ৰস্তুত। আমরা যদি তাহদের দুইচক্ষে অঙ্গুলি দিয়া দেখাইয়া দিই, আমরা পরের জন্য জন্মিয়াছি এবং পরের জন্য বঁচিয়া আছি এবং যখন মরিতে হইবে পরের জন্যই মরিবি, তথাপি তাহারা কিছুতেই বুঝিবে না। বোধ করি বাঙ্গালাদেশের ডিটেক্টীভশ্রেণীর উপর বিধাতার একটা অমোঘ অভিসম্পাৎ আছে। যাক, সে সকল কথা এখন থাক, তুমি নীচে যাও । ফুলসাহেবের বিখর সময় হয়ে এসেছে।”