পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R भांग्रां दी । কঁাপিতে কঁাপিতে শব্দ করিয়া মাটিতে পড়িয়া গেল ; যে গল্প করিতেছিল সে তখন একটা ভূতের গল্পের অৰ্দ্ধেকটা বলিয়াছিল, তাহার,গল্প বলা • ঘুরিয়া গেল ; এবং যে অন্যমনে গুনগুনা করিয়া গান করিতেছিল, সমের মাথায় আসিবার পূর্বে তাহার গান থামিয়া গেল ; এবং সকলেই অবান্মুখে সেই বালিকার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। বালিকা আবার জিজ্ঞাসা করিল। তথাপি কেহ উত্তর করিল না। বিশেষতঃ যে, ভূতের গল্প করিতেছিল, কিছুদিন আগে আমাবশ্যার রাত্রে কোথায় সে স্বচক্ষে প্রেতিনী দেখিয়াছিল, সেই অদ্ভুত কাহিনী অতি সাহসের সহিত বলিতেছিল, ভয়ে তাহার হৃদকম্প হইতে লাগিল; এবং বুকের রক্ত উত্তপ্ত হইয়া ফুটিতে লাগিল। সুতরাং সে তখন মনে মনে বারম্বার অনতিপরিস্ফুটুম্বরে আত্ম-সংরক্ষণের মন্ত্র-পাঠ কুরিতে লাগিল। • বালিকা পুনরপি জিজ্ঞাসা করিল, “এখানে গোস্বামীপাড়া কোথায় ?” তাহাদিগের মধ্যে বলাইচন্দ্র বেশি সাহসের পরিচয় দিয়া বাঙনিষ্পত্ত্বি করিল, “কে তুমি ? কোথা থেকে আসছে ?” বালিকা সে কথায় কোন উত্তর না করিয়া বলিল, “আমার বড় কষ্ট হইতেছে, আমি দাড়াইতে পারিতেছি না, জান যদি গোস্বামি-পাড়া কোন দিকে-শীঘ্ৰ আমাকে বলিয়া দাও । আসি বড়ই বিপদে শাড়িয়াছি।” '. বলাইচাঁদের সাহস দেখিয়া হলধর নামে তথায় আর একজন ছিল, তাহারও সাহস শেষে সীমা অতিক্রম করিয়া উঠিল। সে তখন একরার তাহার অতি সাহসের পরিচয় দিয়া প্ৰেতিনী-অনুমিত বালিকার সহিত কথা কহিল, “গোস্বামী পাড়ায় কার কাছে যাবে ?” বালিকা একবার ইতঃস্তত করিল ; নাম ৰলিল না।