পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।

আর্য্যা জানকীকে অপারে অপহরণ ক’রে এখনো পর্যন্ত জীবিত আছে!! —কোন্‌ দুর্ম্মতি শৃগাল হ’য়ে কেশরি-কামিনীর প্রতি আশা ক’রেছে? কোন্‌ হতভাগ্য স্বেচ্ছায় কাল-সর্প-মুখে হস্ত প্রদান ক’রেছে? কোন্‌ দুর্বুদ্ধি মূঢ়, নিদ্রিত শার্দ্দূলের লাঙ্গূলাকর্ষণ ক’রেছে? তা’র নিশ্চয়ই “রন্ধ্রগত শনি’, অন্যপা, সে এ কার্য্যে প্রবৃত্ত হ’বে কেন?

 রাম। (সখেদে) ভ্রাতঃ! আমাদের প্রতি অমবকূল নিতান্তই প্রতিকূল।— হায়! কেনই বা আমি তখন সেই মাযা-মৃগের অনুসরণে দূর বনে গেলেম্‌? আমার মৃগ-আশা এক্ষণে মৃগের আশা রূপে পরিণত হ’ল!!-হে বনস্থ তরুলতাগণ! তোমরা কি আমার প্রেয়সীকে দর্শন ক’রেছ? হে বিমানচারী বিহঙ্গকুল! তোমরা কি আমার জীবনধনের কোনো সংবাদ জানো? হে দেব সদাগতি। সর্ব্ব স্থানেই তোমার সদাগতি আছে, তুমি কি আমার প্রাণপ্রিয়াকে কোথাও দর্শন ক’রেছ? হে বনদেবতাগণ! তোমরা আমার জানকীর কোনো সংবাদ জান কি? তোমরাই বুঝি আমার হৃদয়-রত্ন অপহরণ ক’বে গোপনে রেখেছে? আর কেন যন্ত্রণ।

১৩