হ’য়ে উঠ্ল। আমি রাজকন্যা, রাজবধু, রাজপত্নী হ’তে গিয়েও গ্রহবৈগুণ্যে নাথের সঙ্গে বনবাসিনী হ’লেম্!! আবার এখন পতিবিয়োগিনী হ’য়ে, রাক্ষস-ভবনে সজল নয়নে জীবন ক্ষয় ক’চ্ছি।—হায়! কেই বা আমার সংবাদ নাথের নিকটে দেবে? কেমন ক’রেই বা আর্য্যপুত্র আমার উদ্দেশ পা' বেন্? এর কোনো উপায়ই দেখ্ ছি না। বুঝি অশোককাননে শোকাগুনে আমাকে দগ্ধ হ’তে হয়। একে নাথের বিচ্ছেদ, তা’তে দুর্ম্মতি দশাননের দারুণ বাক্যযন্ত্রণা, আবার নির্দ্দয়া চেড়ীগণের তাড়নায় শরীর সততই জর জর। উঃ। আমার কি কঠিন প্রাণ! নাথের বিচ্ছেদ-বেদনা এখনো পর্য্যন্ত সহ্য ক’চ্ছি?—হা। আর্য্যপুত্র!-হা হৃদয়-বল্লভ! -হা জীবিতেশ্বর!-হা ধার্ম্মিকপ্রবর!-হা রঘু-কুল-মণি! -হা রাজীবলোচন!-হা জানকী -হৃদয়-রতন!- হা কান্ত!-হা নাথ! - হা না- (মুর্চ্ছা ও পতন।)
[ ত্রস্তভাবে সরমার প্রবেশ। ]
সরমা। এ কি? দেবী যে আজ্ঞান হ’য়ে ধরাসনে প’ড়ে? এই আমি বৃক্ষের অন্তরালে