পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।
১৩

 সীতা। নাথ! সংসারে স্বামীই সতীর সার সুখ। সেই অমূল্য সুখে বঞ্চিত হ’য়ে কি সামান্য গৃহ-সুখে আসক্তমনা থাকা, কুলকামিনীর পক্ষে সম্ভব?—মীন কি কখনো বারিাহীন সরোবরে প্রাণ ধারণ ক’র্ত্ত্যে পারে? যখন জীবন-সর্বস্ব পতিরমণীর একমাত্র আশ্রয় —বনগামী হ’লেন্‌, তখন কি আর আমি ছার গৃহ-ধর্ম্মে অনুরক্তা থাক্তে পারি?

 রাম। প্রিয়ে। তোমার ন্যায় পতিরতা প্রমদার মুখেই ঈদৃশ বাক্য পরম শোভা পায়।

 লক্ষণ। (সবিষাদে)। হা অনার্য্যে কৈকেয়ি! তোমার মনে কি এই ছিল? আর্য্যকে বনবাস দিয়ে তুমি আপনার মনোবাসনা চরিচার্থ কল্যে? যে আর্য্যের ভুজবল, ক্ষত্রিয়কুল-নিহস্তা ভগবান পরশুরামও সহ্য ক’র্ত্ত্যে পারেন নাই; যিনি অনায়াসেই দুর্ভ্যেদ্য হর-ধনু ভঙ্গ কবে ভূতলে অতুল কীর্ত্তি লাভ ক’রেছেন; সমস্ত লোকে যাঁ’রে নর-রত্ন স্বরূপ জ্ঞান করে; যাঁ’র যশোরশ্মি শরচ্চন্দ্র-মরীচিবৎ জগদুজ্জ্বলকারী; যিনি যাদৃচ্ছাক্রমে গৃহ-বহির্গত হ’লে সহস্র সহস্র রথাশ্ব গজ প্রভৃতি অনুগমন ক’র্ত্ত্য; সেই লোকাভিরাম আর্য্য রামচন্দ্র এখন