পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
মায়া-মৃগ।

ছিল, এখন সেই কনক-লতা সীতা দীনা হীনা বনবাসিনী তপস্বিনী বেশে বনে বনে পর্য্যটন ক’চ্ছেন্‌!! আতপ-তাপে প্রিয়ার মুখমণ্ডল প্রভাতকালীন চন্দ্রমার ন্যায় মলিন ও নিষ্প্রভ হ'চ্ছে! হায়! আমাকে প্রেয়সীর ঈদৃশ কষ্টও স্বচক্ষে, অবলোকন ক’র্ত্ত্যে হ’ল! না জানি, অদৃষ্টে আরো কত আছে? (দীর্ঘনিশ্বাস।)

 সীতা। নাথ! আপনি আক্ষেপ ক’র্ব্বেন্‌ না। সতত স্বামীর সহবর্ত্তিনী থাকা অপেক্ষা স্ত্রীলোকের পক্ষে আর অধিক কি সুখ আছে?

 লক্ষণ। (রামের প্রতি) আর্য্য। দেবীর দুঃখ আর চক্ষে দেখা যায় না। ঐ দেখুন্‌, কুশান্ধুরাঘাতে আর্য্যার চরণযুগল রুধিরধারে রঞ্জিত হ’য়েছে।

 রাম। (সবিষাদে) হা হতবিধে! জানকীর অদৃষ্টে এত দুঃখও লিখেছ। মন্দভাগা রামের হস্তে পতিত হ’য়ে জানকীর ভাগ্যে সুখভোগ হ’ল না। রাজকন্যা ও রাজবধু হ’য়ে এমন দুঃখ কেউ কখনো পায় নাই।—হা মাতঃ কৌশল্যে! তোমার প্রাণাধিকা বধূর এত কষ্ট কিছুই জান্তে পা’চ্ছ না। যে বধু জানকীকে কখনো মৃত্তিকা