পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।
৪৫

পবিত্র রঘুকুলে জন্ম গ্রহণ ক'রে, মাতৃদণ্ড রূপ বিষম পাপ-পঙ্কে কি রূপে লিপ্ত হ’তে পারে? আমি ভরতের ভ্রাতৃভক্তি ও সদ্বিবেচনা দর্শনে পরম প্রীতি লাভ ক'রেছি। তোমরা, আমার সমক্ষে, আর তা’র নিন্দাবাদ ক’রো না। আহা! চিত্রকূটে ভরতকে যখন অযোধ্যায় বিদায় দিই, ভরতের তৎকালিক রোদন ও বিলাপের কথা স্মৃতিপথে উদিত হ’লে, এখনো আমার হৃদয় বিদীর্ণ হয়।

 লক্ষ্মণ। (সহাস্য মুখে) সে সমস্তই কপট। আপনার সরল মন, সেই জন্যই চাতুর্য্য বু’ঝতে পারেন না। দেখুন্‌, ব্যাধেরাও সুমধুর বংশীবাদন সরল-বুদ্ধি মৃগের মন মুগ্ধ ক’রে থাকে।

 রাম। ভ্রাতঃ! ও কথার আলোচনা পরিত্যাগ কর; অন্যথা, মর্মান্তিক পীড়া পা’ব। তুমি কখনই আমার বাক্যের প্রতিবাদ কর নাই, এক্ষণে তা’ নূতন দেখ্‌ছি।

 লক্ষ্মণ। (সবিনয়ে) আর্য্য! প্রচণ্ড প্রভঞ্জন প্রতাপে প্রকাণ্ড পাদপ পৃথ্বী-পাতিত হ’লে কি তদাশ্রয়ী বিহুগকুল নীরবে ও নিরুদ্বেগে থাক্তে পারে? মামরা আপনার আশ্রিত, আপনার