একবার তা ভস্মীভূত হ’য়েছিলেম, ভাগ্যবলে আবার প্রাণ দান পেয়েছি।
ইন্দ্র। মীনকেতন! তুমি সংসার মধ্যে অজেয়, তোমার কোনো ভয় নাই। দেবকার্য্য সত্বর সমাধা ক’রে এসে; আর বিলম্ব ক’রো না।
কন্দপ। আপনাদের আজ্ঞা অনুল্লঙ্ঘনীয়। তবে চল্লেম, এখন আমার অদৃষ্টে যা’ থাকুক্! (প্রস্থান।)
(নেপথ্যে গীত।)
বাগিণী কালেংডা।- তাল কাওয়ালী।
প্রোয়সি প্রাণ-প্রতিমা, কোথা মম রতি সতি।
আবাব অদৃষ্টে প্রিয়ে! বুঝিবা ঘটে দুর্গতি ৷
যেতে শূর্পণখা পাশ, মনেতে হ’তেছে ত্রাস,
বুঝি কবিবেক গ্রাস, রাক্ষসী নৃশংসা অতি ৷
হষ-ক্রোধে এক বাব, দেহ হ’য়েছিল ছাব,
জীবন পাই আবাব, তব গুণে বসবতি ৷
কি করি না গেলে নয়, দেবাজ্ঞা লঙ্ঘন হয়,
কিন্তু মনে ভাবি ভয়, কবি প্রিয়ে অবগতি ৷
চলিলাম। আমি তবে, বিদায হইনু এবে,
পুনব্যপি দেখা হ’বে, যদ্যপি পাই নিস্কৃতি ৷
ইন্দ্র। কন্দপদেব তা প্রস্থান কর্ল্যোন, চল আমরাও এক্ষণে স্ব স্ব কার্য্যে গমন করি।
[সকলের প্রস্থান।
ইতি চতুর্থ দৃশ্য।