এখন আমারে রাক্ষসী ব’লে কে চিন্তে পারে? আমরা মায়াবী, যখন যা ইচ্ছা সেই রূপ্ই ধর্ত্তে পারি। এই দিব্য ষোড়শী যুবতী হ’য়েছি, মনে কল্যে এখনি আবার বৃদ্ধ হ’তে পারি। (আপনি হস্তস্থিত পুষ্পহারের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া) আহা! কেমন সুন্দর মালাছড়াটী গেঁথেছি! (দীর্ঘনিশ্বাস সহকারে) এ মালা এখন দিই কা’র গলায়? (ক্ষণেক মৌনান্তে) আজ্ আমার মনটা এত উতলা হ’ল কেন? এই তো কতকাল এই পঞ্চবটী বনে বেড়াচ্ছি, কত কি দেখ্ছি, কখনো তো আমার এত যাতনা বোধ হয়নি? আজ্ যেন মনের ভিতর জ্ব’লে জ্ব’লে উঠ্ছে। এই এত শোভা দেখছি, কোথায় আহলাদ হ’বে, না, যত দেখি ততই জ্বালাতন হ’চ্ছি। এই ফুলের মালা অন্য দিন গলায় দিই, কত সুখ পাই, এই চন্দন গায়ে মাখি, শরীর শীতল হয়; আজ্ যেন কিছুতেই মন স্থির হ'চ্ছে না।
(রঙ্গভূমির পার্শ্বান্তরে কন্দর্পের প্রবেশ।)
কন্দর্প। হায়। দেবাজ্ঞা প্রতিপালন ক’র্ত্ত্যে এসে আজ বুঝি রাক্ষসীর আহার হই!! আমি এই