তোমরা স্থির হ'য়ে থাক, দুশ্চারিণীর সঙ্গে ক্ষণেক পরিহাস করি। (সহাস্যে শূর্পণখার প্রতি) সুন্দরি! তুমি যুবতী, বিশেষতঃ রূপবতী কোন্ সাহসে একাকিনী এই দুর্গম অরণ্যে সর্ব্বদা ভ্রমণ কর?
শূর্পণখা। (ঈষৎ হাস্যে) আমার আবার ভয় কা’রে? দেবতারাও অমার রাবণ দাদার দাস; আর দুই ভাই খর দূষণ, আমার রক্ষার জন্যে চৌদ্দ হাজার সৈন্য নিয়ে, এই দণ্ডকবনে র'য়েছে। -এখন তোমার কৃপা হ’লেই দাসী হ'য়ে আমি পদ-সেবা করি।
রাম। (ব্যঙ্গভাবে) সুন্দরি! আমার বনিতা। হ’লে সপত্নী পা'বে। লক্ষ্মণকে ভজনা কর; লক্ষ্মণ অতি গুণী। আমার আশা পরিত্যাগ কর।
শূর্পণখা। (লক্ষ্মণ সমীপে যাইয়া) সুপুরুষ! আপনারে ধন্য মানো। আমি তোমারে আমার এই অমূল্য যৌবন-ধন দান কল্যেম, গ্রহণ কর।
লক্ষ্মণ। (হাস্য করিয়া)। সুন্দরি! আমি (আর্য্যের আজ্ঞাধীন দাস, আমার প্রতি আশা ক'বো না। প্রভুকে ভজনা কর, সসাগরা ধবার রাজবাণী হ’য়ে পরম সুখে থা'ক্বে।