এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।
৭৭
লক্ষণ। আর্য্যা স্বভাবতঃ সরলা ও ভীরুহৃদয়া; কিছুতেই নিঃশঙ্ক হ’তে পারেন্ না।
রাম। ভ্রাতঃ! স্ত্রীজাতি মাত্রেই প্রায় কোমলহৃদয়; যুদ্ধ বিগ্রহে নিতান্তই বিমুখ।
(কুটীরের অনতিদূরে মায়া-মৃগ-বেশে
মারীচের প্রবেশ।)
সীতা। (সকৌতুকে) আর্য্যপুত্র। দেখুন্ দেখুন্, সম্মুখে কেমন একটী মনোহর মৃগ ক্রীড়া ক’চ্ছে! আহা! এমন অপরূপ মৃগীরূপ তো কখনো চক্ষে দেখিনি!
রাম। এ অতি অদ্ভুত। স্বর্ণ-মৃগ এত দিন আমাদের দৃষ্টিপথের পথিক হয় নাই। আহা। কি কমনীয় কান্তি! বোধ হয়, দণ্ডককানন প্রকৃতির অদ্ভুত পদার্থের ভাণ্ডার।
সীতা। নাথ! মৃগরূপ দর্শনে আমার মন অতি মোহিত হ’য়েছে। যদি ক্লেশস্বীকার ক’রে ঐ স্বর্ণ-মৃগটী দাসীরে ধ’রে এনে দেন্, তা’ হ’লে পরম প্রীতি পাই।—আহা! কি চমৎকার রূপ!
রাম। বৎস লক্ষ্মণ! জানকী ঐ মনোহর মৃগের অভিলাষিণী হ’য়েছেন।