পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
মায়া-মৃগ।

আক্রমণ ক’রেছিল; বড় ভাগ্যে তা’ হ’তে প্রাণে প্রাণে রক্ষা হ'য়েছে। কি জানি, যদি আবার কোনো নূতন বিপদ উপস্থিত হয়, এই আশঙ্কায় আমার মন বড় ব্যাকুল হ’চ্ছে।— হায়! কেনই বা আমি সেই মনোহর মৃগের অভিলাষিণী হ’লেম? কেনই বা আমি প্রভুকে একাকী দুর্গম বনে পাঠা'লেম? কেনই বা আমি তখন দেবর লক্ষ্মণকে প্রভুর সঙ্গে দিলেম না? হায় হায়! না জানি আজ্‌ অদৃষ্টে কি ঘটনা হয়।

 লক্ষ্মণ। দেবি! অনর্থক চিন্তায় কেন মনকে আকুলিত করেন্‌? ত্রিভুবনে এমন কেউ বীর নাই যে, আর্য্যের সঙ্গে শক্রতাচরণ ক’রে প্রাণ ধারণ ক’র্ব্বে। আপনার বিবাহকালীন কথা একবার স্মরণ ক’রে দেখুন্‌ দেখি। আর্য্য, সেই লোক পরাজয় হর-ধনুঃ অনায়াসেই ভঙ্গ ক’রে ভূতলে অতুল কীর্ত্তি লাভ কর্ল্যেন; বীরশ্রেষ্ঠ পরশুরামের দর্প চূর্ণ ক’রে লোক সমাজে প্রতিষ্ঠাভাজন হ'লেন; সংপ্রতি আবার আপনার চক্ষের সমক্ষেই দুরাচার খর দূষণ সসৈন্যে শমন সদনে প্রেরিত হ'য়েছে; তথাপিও আপনার আশঙ্কা অপসারিত হয় না?