পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মায়া-মৃগ।
৮১

 সীতা। বৎস। তা' আমি সমস্তই জানি। আর্য্যপুত্র একাকী গমন ক’রেছেন ব’লেই আমার এত আশঙ্কা। তুমি তাঁ’র সঙ্গে থাকলে ভয়ের আর কোনো কারণ থাক্ত না।

 লক্ষ্মন। দেবি। দেখুন্‌, একা মৃগেন্দ্রই পশুপালের প্রাণনাশে পারগ; এক পক্ষিরাজই সর্পকুল সংহারে সক্ষম; এক সূর্য্যই জগতের অন্ধকারহারক; তবে আর্য্যের বিক্রমে আপনার আর সংশয় কি? আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন্‌, আর্য্য এখনি সেই স্বর্ণ-মৃগ ল’য়ে কুটীরে প্রত্যাগমন ক’র্ব্বেন্‌। কুরঙ্গকুল স্বভাবতঃ চতুর, বোধ হয়, প্রাণভয়ে পলায়ন ক’রে নিবিড় বনে প্রবেশ ক’রে থা'ক্‌বে; এই কারণেই আর্য্যের আগমনে এত বিলম্ব হ’চ্ছে।

(নেপথ্যে রোদানস্বরে গীত।)

রাগিণী পাহাড়ী।— তাল আড়াঠেকা।

কোথা প্রাণোব লক্ষ্মণ দেখা দাও ত্ববাধি হে!
বিজন বিপিনে বুঝি প্রাণ আমাব যায় হে!
সুখে বা পিপাসা, হ’ল রে দুরাশা,
মৃগ বধে আশা আমার, মৃগ আশা প্রায় হে!